ইডি দফতরে ৯ ঘণ্টা জেরার পর বেরিয়ে বিস্ফোরক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করলেন, ২৫ জন বিজেপি বিধায়ক যোগদান করতে চাইছেন। তৃণমূল নিচ্ছে না। গত বিধানসভা ভোটের প্রচারে ২০০ আসনে জয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন অমিত শাহ। সেই প্রসঙ্গ তুলে অভিষেকের কটাক্ষ, রাজনৈতিকভাবে লড়াই করার হিম্মত নেই। বাংলায় গিয়ে কী অবস্থা হয়েছিল! যে অমিত শাহ বড় বড় কথা বলেছিলেন- শৈশবের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বলছি ২০০ আসন পাব। সেই বিজেপি ৭০-র ঘরে আটকে গিয়েছে।
টানা ন’ঘণ্টা তৃণমূল সাংসদকে জেরা করে ইডি। সূত্রের খবর, দফায়-দফায় একাধিক তদন্তকারী দল তাঁকে জেরা করে। দুপুরে তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে মধ্যাহ্নভোজের খাবার দেওয়া হলেও তিনি নিজের আনা খাবার খান। এর পরেও চলে জেরা। শেষে রাত ৯টা নাগাদ দফতর থেকে বের হন তিনি। তার পরেও তাঁর চোখেমুখে আত্মবিশ্বাসের ছাপ। সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর চ্যালেঞ্জ, ‘বিজেপিকে হারাবই আমরা’।
অভিষেকের কথায়, ‘যা জানতে চাওয়া হয়েছে সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। ভিতরে কী কথা হয়েছে সেটা তো বলতে পারব না। বারবার বলছি, আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ থাকলে তা প্রকাশ্যে আনুন। রাজনৈতিকভাবে রাজনীতির লড়াই করুন’। এর পরই বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘বাংলায় লড়াই করতে গিয়ে দেখেছেন ওদের কী অবস্থা হয়েছে। অমিত শাহ বলেছিলেন ২০০-র বেশি আসন পাবেন। কিন্তু ৭০-এই ওঁদের গাড়ি আটকে যায়। আমি বলছি, আরও ২৫ জন বিজেপি বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। আমরা নিচ্ছি না। বলেছি, ইস্তফা দিয়ে নিজের ক্ষমতায় জিতে এখানে আসুন’।
দেশ থেকে বিজেপিকে উৎখাতের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে অভিষেক আরও বললেন, ‘যে যে রাজ্যে বিজেপি আছে সেখানে সেখানে যাব। আমরাই বিজেপিকে হারাব’। তাঁর কথায়, ‘যে যা পারে করে নিক। ইডি-সিবিআই যাকে খুশি পিছনে লেলিয়ে দিক। ধমকে চমকে তৃণমূলকে আটকানোর চেষ্টা করুক। আমি বলে যাচ্ছি কেউ কিচ্ছু করতে পারবে না’। এর পরই নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে বেঁধেন তিনি। বলেন, ‘প্রকাশ্যে যাঁদের টাকা নিয়ে দেখা গিয়েছে, তাঁদের নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থা চুপ’।