তৃণমূলের ডায়মন্ড হারবার- যাদবপুর সাংগঠনিক জেলায় পরিবর্তন করা হল। তৃণমূল সূত্রের খবর, ডায়মন্ড হারবার -যাদবপুর সাংগঠনিক জেলা থেকে যাদবপুরকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাদবপুর এবং টালিগঞ্জ বিধানসভার ১৯ টি ওয়ার্ড দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলার সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হল।
যাদবপুর এবং টালিগঞ্জ বিধানসভা দক্ষিণ কলকাতার সাংগঠনিক জেলার অন্তর্ভুক্ত হল। দক্ষিণ কলকাতার সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবাশিস কুমার। দলীয় সূত্রে খবর, যেহেতু কলকাতা পুরসভার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যাদবপুর এবং টালিগঞ্জ বিধানসভার ১৯টি ওয়ার্ড। সে কারণে সেটিকে ডায়মন্ডহারবার জেলার থেকে বাদ দিয়ে দক্ষিণ কলকাতার মধ্যে ঢোকানো হয়েছে।
সংগঠনকে মজবুত করতে একই সঙ্গে একাধিক পদক্ষেপ করছে তৃণমূল। উত্তর থেকে দক্ষিণ, তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদেও ব্যাপক রদবদল ঘটানো হয়েছে। এক পদ, এক ব্যক্তি। এই নীতি কার্যকর করেছে জোড়া ফুল শিবির। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া, কলকাতা, হাওড়া সহ বেশ কয়েকটি জেলাকে সাংগঠনিকস্তরে ভেঙে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানো হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। তৃণমূলী-নির্দেশ ‘এক ব্যক্তি এক পদ’-এর জেরেই তাঁর মধ্যমগ্রামের মুখ্য পৌরপ্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া নিয়েও গুঞ্জন শুরু হয়।
এদিকে, নদিয়া জেলাকে সাংগঠনিকস্তরে উত্তর ও দক্ষিণ- এই দুই ভাগে বিভক্ত করেছে তৃণমূল। চারটি সাংগঠনিক জেলায় বিভক্ত করা হয়েছে হাওড়াকে। এগুলো হল, হাওড়া শহরতলী, হাওড়া গ্রামীণ, হাওড়া সদর ও হাওড়া শহর। পূর্ব মেদিনীপুরের সভাপতি পদ থেকে সরানো হল মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে। সাংগঠনিকস্তরে কলকাতার দুই জেলা কমিটির সভাপতিও বদল করা হয়েছে।