রাজ্যজুড়ে ক্রমশই জমি হারাচ্ছে ভারত। কাঁথিতে অধিকারী-আধিপত্যে ফের ভাঙন ধরল। রবিবার কাঁথি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় ৫০ জন নেতা ও কর্মী-সর্মথক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। যোগদানকারীদের অধিকাংশই এলেন বিজেপি থেকে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে উপনির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়েছে। এবার কাঁথি, এগরা-সহ অন্য পুরসভার নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলি কোমর বাঁধতে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে কাঁথি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে এই দলবদল বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
প্রসঙ্গত, একটা সময়ে কাঁথি পুরসভায় অধিকারীদের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। তা এখন অতীত। কাঁথি পুরসভায় তৃণমূলের জয়যাত্রা অব্যাহত রাখতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে কোভিড বিধি মেনে সভা করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার রাতে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ধনদিঘিতে আয়োজিত সভায় তৃণমূল কংগ্রেসে আসা নেতা-কর্মীদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তরুণকুমার মাইতি ও মৎস্যমন্ত্রী কাঁথি শহরের ভূমিপুত্র অখিল গিরি।
উল্লেখ্য, এদিনের সভায় ছিলেন সুপ্রকাশ গিরি, কমলেন্দু পাহাড়ি, হরিসাধন দাস অধিকারী, দেবাশিস পাহাড়ি প্রমুখ। সভায় যোগদানকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গোপালকৃষ্ণ দাস, প্রীতীশ খান্ডা, শেখ কাদের প্রমুখ। গোপালকৃষ্ণ দাস বলেন, “দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় তৃণমূল কংগ্রেসে মানুষের জন্য কাজের পরিবেশ অত্যন্ত ভাল। তাই আমরা যোগদান করলাম।”