আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২-এই উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগে মুজফফরনগরের মহাপঞ্চায়েত থেকেই কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন আরও জোরদার করার শপথ গ্রহণ করলেন কৃষক নেতারা। রবিবারের কৃষক মহাপঞ্চায়েতে ব্যাপক জনসমাগম দেখে উচ্ছ্বসিত কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেন, ‘যদি সরকার কিছু বুঝে থাকে, তাহলে ভাল। সারাদেশে এরকম সমাবেশ করা হবে। দেশকে বিক্রির হাত থেকে বাঁচাতে হবে। কৃষক, শ্রমিক, যুবদের বাঁচতে দিতে হবে।’ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যূত করতে উত্তরপ্রদেশের সমস্ত জেলাতেই এই ধরণের সমাবেশ করা হবে বলে গতকাল ঘোষণা করেছেন কৃষক নেতারা। এমনকী, জেলা সদরের পাশাপাশি যোগী রাজ্যের প্রতিটি গ্রামে গিয়েও বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানাবেন কৃষক নেতারা। ইতিমধ্যেই ২৭ সেপ্টেম্বর ভারত বনধের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। কৃষকদের মহাপঞ্চায়েতে সমর্থন করেছে বিরোধীরা।
যেমন উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের দায়িত্বে থাকা নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী টুইটে লেখেন, ‘কৃষকরা দেশের আওয়াজ। কৃষকরা দেশের গর্ব। কৃষকদের আওয়াজের সামনে কোনও ক্ষমতার দম্ভ চলে না। কৃষি এবং তাঁদের কঠোর পরিশ্রমের অধিকার রক্ষা করতে সমস্ত দেশ কৃষকদের সঙ্গে রয়েছে।’ তবে এরই মধ্যে কষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে টুইট করে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়েছেন দলীয় সাংসদ বরুণ গান্ধী। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘আজ মুজফফরনগরে বিক্ষোভ সামিল লক্ষাধিক কৃষক। তাঁরা আমাদেরই মতো রক্ত মাংসের মানুষ। সম্মানজনকভাবে তাঁদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা শুরু করতে হবে। তাঁদের যন্ত্রণা বুঝতে হবে, তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে হবে এবং সাধারণ বিষয়গুলি নিয়ে তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে হবে।’ অন্যদিকে, ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন নেতা টিকায়েত বলেন, উত্তরপ্রদেশের জনতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে সহ্য করবে না। এরকম সরকার থাকলে দেশে দাঙ্গা হবে। আল্লাহু আকবর, হরহর মহাদেব ধ্বনি শোনা গিয়েছে। ওরা বিভাজনের কথা বলে, আমরা ঐক্যের।