হাতে সময় কম। চলতি মাসের শেষ দিনেই ভবানীপুরে উপনির্বাচন। প্রার্থী স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে জোরকদমে প্রচার। শনিবার উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পরই সন্ধের দিকে ফিরহাদ হাকিম সেখানে গিয়ে দেওয়াল লিখনে হাত লাগিয়েছিলেন। এদিন সেখানে গিয়ে রীতিমতো হইহই করে প্রচার শুরু করে দিলেন মদন মিত্র।
একতারা বাজিয়ে সুর তুললেন – ‘তোমায় হৃদমাঝারে রাখব, ছেড়ে দেব না’। যা মূলত ভবানীপুরে ‘ঘরের মেয়ে’র হয়ে প্রচারেরই কথা। তুলিতে সবুজ রং লাগিয়ে তিনি দেওয়ালে লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। ভবানীপুর দিয়ে যাওয়ার পথে আবার এই দৃশ্য দেখে গাড়ি থামালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মী, সমর্থকদের উৎসাহ দিলেন। সবাই যাতে কোভিডবিধি মেনে কাজ করেন, সেই সতর্কবার্তাও দিয়ে গেলেন।
ভবানীপুরের ডিএল খান রোডে সে এক জমজমাট ব্যাপার। সেখানে হাজির হয়েছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁর বাড়িও ওই এলাকাতেই। তবে আজ তিনি সেখানে গিয়েছেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে। আর মদন মিত্রর প্রচার মানেই রঙিন। এদিনও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। দেখা গেল, সাদা-নীল পাঞ্জাবি পরা মদন মিত্র একতারা বাজিয়ে নিজেই গান ধরলেন – ”তোমায় হৃদমাঝারে রাখব, ছেড়ে দেব না।” সঙ্গে গলা মেলালেন তাঁর অনুগামীরাও। ভবানীপুরে মমতার হয়ে প্রচারের জন্য তৃণমূলের নতুন স্লোগান – ‘উন্নয়ন ঘরে ঘরে/ঘরের মেয়ে ভবানীপুরে’। আর মদন মিত্রর গানেও যেন সেই সুরই প্রতিফলিত হল। এখানেই শেষ নয়। আজ শিক্ষক দিবসকে সামনে রেখে জনপ্রিয় তৃণমূল বিধায়ক এলাকার কয়েকজন শিক্ষকের পা ধুইয়ে দিলেন। আর তারপর তিনি তুলি হাতে সবুজ রং দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম লিখলেন দেওয়ালে।
মদন মিত্র যখন ভবানীপুরে দলীয় সুপ্রিমোর হয়ে প্রচারে ব্যস্ত, ঠিক সেসময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসব দেখে তিনি গাড়ি থামানোর নির্দেশ দেন। দলীয় নেতা, কর্মীদের এই উৎসাহ দেখে আপ্লুত নেত্রী গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সবাই ভালভাবে কাজ করো। আমি সবসময় তোমাদের সঙ্গে আছি। সবাই নিজেদের শরীরের দিকে নজর রেখো’।