তাঁকে কয়লা পাচার কাণ্ডে তাঁকে তলব করেছে ইডি। আর সেই তলবে তিনি হাজিরা দেবেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই। দিল্লীর বিমান ধরার আগে সেকথাই জানালেন তৃণমূল সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার বিকেলে দিল্লীর বিমানে ওঠেন অভিষেক। জানিয়ে দেন, রাজ্যে ভোটে হেরে প্রতিহিংসার বসেই ষড়যন্ত্র করছে কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি। দমদম বিমানবন্দরের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেন, গত নভেম্বরে তিনি যেকথা বলেছেন, এখনও সেই কথাই বলবেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ জনসমক্ষে আনা হোক। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে তিনি জনসমক্ষে ফাঁসিতে চড়তেও রাজি। কলকাতার মামলায় কেন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে দিল্লী ডেকে পাঠান হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অভিষেক।
এর পাশাপাশি, দেশে চলতে থাকা দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বকেও কটাক্ষ করেছেন অভিষেক। এই বিষয়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে আলোচনায় রাজি বলেও সাংবাদিকদের সামনে দাবি করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সারদা মামলায় সুদীপ্ত সেন যাদের নাম নিয়েছেন, ইডি কেন তাদের জিজ্ঞাসা বাদ করছে না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি। প্রসঙ্গত কয়লা মামলায় গত ২৮ আগস্ট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে দিল্লীর দফতরে তলব করে ইডি। রুজিরাকে ১লা সেপ্টেম্বর ও অভিষেককে ৩রা সেপ্টেম্বর হাজিরা দিতে বলা হয়। কিন্তু দিল্লীতে হাজিরা দেননি রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১লা সেপ্টেম্বর চিঠি দিয়ে তিনি ইডি-কে জানিয়ে দেন, অতিমারীর মধ্যে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে দিল্লী-যাত্রা নিরাপদ বলে মনে করছেন না। তাই অভিষেকের স্ত্রী আর্জি জানিয়েছেন তাঁকে যেন কলকাতার বাড়িতেই প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তবে তিনি ইডির তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত, তাই দিল্লী যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন অভিষেক। ইডির তলবে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তিনি বলেন, “যাঁরা ভাবছেন ইডি ও সিবিআই-কে দিয়ে ভয় দেখিয়ে আমাদের চুপ করানো যাবে তাঁরা ভুল ভাবছেন। আমাদের লড়াই আরও শক্তিশালী হবে।”