অব্যাহত পদ্মশিবিরেরর অন্তর্দ্বন্দ্ব। ফের দেখা দিল ভাঙনের পূর্বাভাস। এবার বেসুরো রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। সাংবাদিক বৈঠক থেকে ক্ষোভ উগরে দিলেন উত্তর দিনাজপুরের বিজেপি সভাপতি থেকে শুরু করে রায়গঞ্জের সাংসদের বিরুদ্ধে। সাফ জানালেন, দলের কোনও কাজেই আর থাকবেন না তিনি। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, দ্রুতই তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন কৃষ্ণ।
প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। সেখানেই জেলা বিজেপির সভাপতি বাসুদেব সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। নাম না করে তোপ দাগেন রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকেও। বলেন, “এখানকার সাংসদ কখন আসেন, কখন যান আমরা কিছুই জানি না। এলাকার মানুষ প্রয়োজনে তাঁদের দেখা পান না।” কৃষ্ণবাবু দাবি করেন, তিনি এবিষয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন। তাঁরা সুরাহা করার আশ্বাস দিলেও কোনও ফল মেলেনি। এমনকী উত্তরবঙ্গের বিধায়কদের নিয়ে শিলিগুড়ির বৈঠকেও নাকি নিজের অভিযোগ জানিয়েছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী।
এরপর দলের সমস্ত কর্মসূচী থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন কৃষ্ণ কল্যাণী। এদিন তিনি বলেন, “আমার অন্তরাত্মা বলেছে যে সাংবাদিক বৈঠক করে সব জানানো প্রয়োজন তাই বলছি। যেখানে বিধায়কের সম্মান নেই, সেখান থেকে সরে যাওয়াই ভাল। বাসুদেববাবু বলেছিলেন, বাঁশি ওনার হাতে। উনি বাঁশি বাজিয়ে সংগঠন চাঙা করুন, আমি বিধায়ক হিসেবে দলের কাজ করব।” দলের কাজ থেকে সরানোর পাশাপাশি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জল্পনাও উসকে দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। বাসুদেব সরকারকে সরানো হলে কী দলে সক্রিয় হবেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, “যদি বলে কোনও কথা রাজনীতিতে হয় না।” পরিচিত মহলের ধারণা, কৃষ্ণ কল্যাণীর তৃণমূলে যোগ সময়ের অপেক্ষা মাত্র।