সম্প্রতি তিন পড়ুয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তা খারিজের দাবিতে জোরদার হয়েছে ছাত্র আন্দোলন। এবার রিলে অনশনের পথে আন্দোলনকারী পড়ুয়া এবং অধ্যাপকরা। রবিবার বেলা ৩টে ১৫ থেকে রিলে অনশন শুরুর কথা। এদিকে, শিক্ষক দিবসে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে সম্মান জানাতে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা পুষ্পস্তবক এবং মিষ্টি নিয়ে তাঁর বাসভবনের সামনে যান। উপাচার্যের বাসভবনের দরজায় থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের মাধ্যমে ফুল এবং মিষ্টি উপাচার্যের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আর্জি জানান তাঁরা। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা তা নিতে অস্বীকার করেন। আন্দোলনরত ওই পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখাই করলেন না উপাচার্য।
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর প্রায় ১২ জন অধ্যাপক-অধ্যাপিকাকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। এছাড়াও অর্থনীতি এবং সংগীত বিভাগের মোট ৩ জন পড়ুয়াকে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সাসপেনশন বর্ধিত করা হয়। তারা সাসপেন্ড থাকাকালীন তিন পড়ুয়াকে ৩ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব পড়ুয়ারা। তার জেরে আন্দোলন এখনও চলছে।
তবে ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন নিরাপত্তার দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। রিট পিটিশন দাখিল করা হয়। গত শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্ট কড়া অবস্থান নেয়। জানিয়ে দেওয়া হয় ক্যাম্পাসের ৫০ মিটারের মধ্যেও কোনও বিক্ষোভ চলবে না। শান্তিপূর্ণ অবস্থান চলতে পারে, তবে চলবে না মাইক বাজিয়ে স্লোগান দেওয়া। তারপরই হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে উঠে যায় অবস্থান।
এরপর শুক্রবার রাতে হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে উপাচার্যের বাড়ির ৫০ মিটার ছেড়ে ফের অবস্থানে বসেন পড়ুয়ারা। ক্যাম্পাস থেকে ৫০ মিটার ছেড়ে জমায়েত করেন পড়ুয়াদের একাংশ। তৈরি করা হয় অস্থায়ী মঞ্চ। নেই মাইকের ব্যবহারও। সেই অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হন বেশ কয়েকজন অধ্যাপকও। তবে তারই মাঝে বিশ্বভারতী শুরু হয়েছে ভরতি প্রক্রিয়া। এদিকে, তিন ছাত্রের সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত খারিজের দাবিতে এখনও সরব পড়ুয়ারা। সাসপেনশনে সিদ্ধান্ত খারিজ দাবি জানানো প্ল্যাকার্ড হাতেই রবিবার উপাচার্যের বাসভবনের সামনেও যান আন্দোলনকারীরা। তবে পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা না করার সিদ্ধান্তে অনড় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।