আগামীকাল ত্রিপুরাতেও শিক্ষক দিবস পালন করবে তৃণমূল। আর সেখানে হাতিয়ার করা হবে ত্রিপুরার ১০৩২৩ জন শিক্ষকের অবস্থাকে। ইতিমধ্যেই ওই শিক্ষকদের সঙ্গে সাথে দেখা করেছেন বিপ্লব দেব। কিন্তু সঙ্কটমোচন এখনও বিশ বাঁও জলে। আর তাতেই ডিভিডেন্ট তৃণমূলের।
ত্রিপুরার বিজেপি সরকার ২০১৮ সালে ১০,৩২৩ চাকরি আটকে থাকা শিক্ষকদের জন্য একটি ‘স্থায়ী সমাধান’ আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু মাত্র দু’বছর পরে, কোভিড -১৯ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই, ২০২০ সালের মার্চ মাসে – সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদিত মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে সেগুলি বাতিল করা হয়েছিল। মোট ১০,৩২৩ জন স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং অস্নাতক শিক্ষককে ২০১০ সাল থেকে বিভিন্ন পর্যায় ত্রিপুরা সরকারী স্কুলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী কালে এই বিষয়ে কোর্টে মামলা দায়ের হয় ও কোর্ট এই নিয়োগকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে।
এর পরে, ২০১৭ সালে, রাজ্য সরকার একটি বিশেষ আবেদন করেছিল, যেখানে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছিল।সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের পরে শিক্ষকদের অবসর নেওয়ার কথা ছিল, এবং তাৎক্ষণিক ভিত্তিতে শেষ হওয়ার কথা ছিল। ২০১৮ সালের নভেম্বরে, সুপ্রিম কোর্ট তাদের ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত এককালীন চূড়ান্ত মেয়াদ বাড়িয়ে দেয় – যার পরে শিক্ষকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিপ্লব দেবের সরকার, যদিও তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য একটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল – ৩ বছর পরেও সেটিও পূরণ করেনি।
অন্য দিকে, আগামীকাল ৫ ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষক দিবস উদযাপনের নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।। তার এই নির্দেশের উপর ভিত্তি করে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ পশ্চিম বঙ্গের যুব সংগঠনের প্রতি শিক্ষক দিবস উদযাপন সংক্রান্ত নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছেন, ‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫ ই সেপ্টেম্বর, শিক্ষক দিবস উপলক্ষে যে নির্দেশ দিয়েছেন, তার উপর ভিত্তি করেই আমি আমার যুব সংগঠনকে বলতে চাই আনুষ্ঠানিক ভাবে না হলেও যদি পাড়ায় পাড়ায় গিয়েও যাঁরা বয়ঃজ্যেষ্ঠ শিক্ষক শিক্ষিকারা রয়েছেন তাদের অন্তত ফুল বা যেকোনো স্মারক দিয়ে সম্মান জানান তবে তাদের এই কর্মসূচি সত্যি আমাদের যুব সংগঠন কে শুভ উদ্দেশ্যে চালিত করবে’।