আরও একটা উইকেট পড়ল। তৃণমূলে যোগ দিলেন কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায়। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছিলেন আগেই। তখনই পদ্মশিবিরের নেতারা বুঝেছিলেন, আটকানো গেল না। শনিবার দুপুরে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে তিনি যোগ দিলেন জোড়াফুলে।
ঘটনাচক্রে দক্ষিণ দিনাজপুরের সৌমেন রায় তৃণমূলেরই নেতা ছিলেন। একুশের ভোটের আগে বাকি দলবদলুদের মতো তিনিও যোগ দেন বিজেপিতে। মুকুল রায়ের অনুগামী হিসেবেই সৌমেনের পরিচিতি। একুশের ভোটের পর মুকুল তৃণমূলে চলে আসায় তাঁর দলবদলের গুঞ্জনও উঠেছিল। অবশেষে এদিন তিনি তৃণমূলে যোগ দিলেন।
এদিন শাসকশিবিরে নাম লিখিয়ে কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন বলেন, ‘আমি ছাত্রজীবন থেকেই তৃণমূলে আছি। ঘটনাচক্রে আমি বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়ে জয়লাভ করি। কিন্তু আমার মন-প্রাণ তৃণমূল কংগ্রেসেই পড়ে ছিল’।
তবে এই দলবদলের ফলে বাংলা বিধানসভায় বিজেপির আরও শক্তিক্ষয় হল। কারণ বিধানসভা ভোটে ৭৭ আসনে জয়লাভের পর নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার বিধায়ক পদ ত্যাগ করেন। এরপর প্রথমে মুকুল রায় ও পরবর্তী সময় তন্ময় ঘোষ ও বিশ্বজিৎ দাসও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এ বার চলে এলেন সৌমেন রায়ও। ফলে বিজেপি যে আরও দুর্বল হল, তা বলাই বাহুল্য। বর্তমানে রাজ্য বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৭ থেকে কমে হল ৭১।