বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বনের সর্বশ্রেষ্ঠ পার্বনই হল শারদোৎসব। সব পেশার মানুষের কাছেই দুর্গাপুজো নিয়ে আসে এক খুশির সময়। কারণ দুর্গাপুজোকে ঘিরে কোটি কোটি মানুষ বিভিন্নভাবে উপার্জন করে। তাই সবদিক মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া ছিল। এবার কাজে নামল রাজ্য সরকার। বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোকে আন্তর্জাতিক উৎসব হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ইউনেস্কোর কাছে আবেদন জানানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে রাজ্য সরকারের পর্যটন দফতরে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দুর্গাপুজোকে নিয়ে আলাদা ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এর আগেও তাদের তরফে ইউনেস্কোর কাছে ‘আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ লাভের জন্য আবেদন যায়। কিন্তু সেই সময় কোনো সাড়া না আসায় এবার ফের শুরু হল প্রস্তুতি। দুর্গাপুজো শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি একটি সামাজিক উৎসবে পরিণত হয়েছে। সেই সংক্রান্ত যাবতীয় রিপোর্ট ইউনেস্কোর কাছে পাঠাচ্ছে পর্যটন দফতর।
উল্লেখ্য, অর্থমূল্যে দুর্গাপুজো প্রায় ৪০-৫০ হাজার কোটি টাকার উৎসব। এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বহু মানুষের জীবিকা। বিভিন্ন পেশার বহু মানুষ এই সময় লাভের মুখ দেখে। এই উৎসব সংক্রান্ত যাবতীয় চিত্র তুলে ধরে আবারও ইউনেস্কোর দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্য সরকার। দুর্গাপুজোকে ঘিরে রাজ্য সরকারের তৈরি একটি তথ্যচিত্রও পাঠানো হচ্ছে ইউনেস্কোতে।
বছর পাঁচেক আগে ভারত-আমেরিকা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নিদর্শন হিসাবে মার্কিন সরকার ভারতের সমস্ত উৎসব নিয়ে একটি পর্যবেক্ষণ চালায়। ভারতবর্ষের কোন কোন উৎসবের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি মানুষের যোগ দেখা যায় সেই মাপকাঠিতে বিচার করে বাংলার দুর্গাপুজো ও মহারাষ্ট্রের গণেশপুজোকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ইউনেস্কোর কাছে এই জাতীয় রিপোর্টও পেশ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। ইউনেস্কোর তরফে ‘আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ লাভ করলে আরও উন্নতি ঘটবে রাজ্যের পর্যটন শিল্পের। দুর্গাপুজোর সময় ভিড় বাড়বে বিদেশিদের।