২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলার উন্নয়নকে পাখির চোখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম সরকারের রেখে যাওয়া ঋণের বোঝা ও কেন্দ্রের তরফে প্রাপ্য অর্থ ঠিকমতো না পেলেও উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলায় স্থায়ী সম্পদ তৈরিকে বরাবর প্রাধান্য দিয়ে এসেছেন তিনি। তাঁর এই মনোভাবকে প্রাধান্য দিয়েই বিধায়কদের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের ক্ষেত্রে হাত উপুড় করেছে নবান্ন।
এমনকী, কোভিড পরিস্থিতিতে বাড়তি আর্থিক চাপ সত্ত্বেও এক্ষেত্রে আপোস করেনি সরকার। তাই গত পাঁচ বছরে এই খাতে বাজেট বরাদ্দের ৯৬ শতাংশ টাকা মঞ্জুর করেছে রাজ্য পরিকল্পনা দফতর। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৮৫৫ কোটি। নোডাল অফিসার তথা জেলাশাসকদের (কলকাতার ক্ষেত্রে পুর কমিশনার) কাছে এই টাকা যায়। যার মধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পে ইতিমধ্যেই ৮২২ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কোভিডের কারণে গত আর্থিক বছর থেকে সাংসদ তহবিলের টাকা বরাদ্দ স্থগিত রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ নিয়ে দলমত নির্বিশেষে সাংসদরা ক্ষোভ জানালেও তাতে কর্ণপাত করেনি কেন্দ্র। সেই নিরিখে মমতার সরকার বিধানসভা ভিত্তিক উন্নয়নের জন্য টাকা বরাদ্দে কোনও খামতি রাখেনি, বলছেন আধিকারিকরাই।