ভবানীপুরে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হতে চলেছেন, তা বহুদিন আগে থেকেই পরিষ্কার করে দিয়েছিল তৃণমূল। খোদ দলনেত্রীর জন্য আসন ছাড়তে হয়েছিল রাজ্যের মন্ত্রী তথা ভবানীপুর কেন্দ্রে জয়ী বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। অবশেষে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শনিবার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন ঘোষণা করে দিল নির্বাচন কমিশন। আর তারপরই গোটা বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে শুরু হয়েছে প্রচার।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ভবানীপুরে। এর পাশাপাশি জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে বিধানসভা ভোট হবে। ফল ঘোষণা ৩ অক্টোবর। তবে বলাই বাহুল্য, যাবতীয় আগ্রহের কেন্দ্রেই রয়েছে ভবানীপুর। কারণ, এই আসন থেকে নিজের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি বাঁচাতে লড়বেন মমতা। আর মমতার চেয়ার যেখানে ঝুঁকিতে, সেখানে তৃণমূল কর্মীরাও যে নিজেদের ১০০ শতাংশ দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বেন, সেটা বলাই যায়।
ভোটের দিন ঘোষণা না হলেও প্রস্তুতি নেওয়া ছিল আগে থেকেই। সেই মতো শনিবার উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরই নেমে পড়লেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। ভবানীপুরের একাধিক চত্বর ছেয়ে যায় ব্যানার-ফেস্টুনে। এমনকী, পথে নেমে দেওয়াল লিখন পর্যন্ত শুরু করে দেন স্থানীয় কাউন্সিলরা।
একুশের ভোটে রাজ্যে রাজনীতির গণ্ডি ছাড়িয়ে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল তৃণমূলের খেলা হবে স্লোগান। ভবানীপুর উপনির্বাচনেও অপরিবর্তিত থাকছে তৃণমূলের ‘মূল মন্ত্র’। সেই স্লোগানই এ বারও প্রচারের মূল হাতিয়ার হতে চলেছে। দেওয়াল লিখনে জায়গায় জায়গায় ফুটে উঠেছে ‘খেলা হবে স্লোগান’।
ভবানীপুরের ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর অসীম কুমার বসু নিজে রং-তুলি নিয়ে দেওয়াল লিখনে হাত লাগান। দেওয়াল লেখার ফাঁকে তিনি বলেন, ‘ভবানীপুরের মেয়েকেই ভবানীপুরের মানুষ চাইছে। তাই আমার পূর্ণ বিশ্বাস ভবানীপুর থেকে রেকর্ড ব্যবধানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়লাভ করবেন’।