ভবানীপুর সহ গোটা দেশে ৩৩ টি বিধানসভা আসনে উপ নির্বাচন বকেয়া রয়েছে। কিন্তু কেবলমাত্র কেন ভবানীপুরে ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার সপক্ষে যুক্তি দিল নির্বাচন কমিশন। ভবানীপুর বিধানসভা আসনে ভোট হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। তার নির্ঘণ্ট ঘোষণা করার পাশাপাশি কমিশন এদিন জানিয়েছে, কোভিড পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক।
সেই কারণেই ৩১ টি আসনে উপ নির্বাচন এখনও করানো হচ্ছে না। কিন্তু সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিবের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় নির্বাচিত সদস্য নন। সংবিধানের ১৬৪ (৪) ধারা অনুযায়ী কোনও মন্ত্রী আইনসভার সদস্য না হলে ৬ মাসের বেশি মন্ত্রী থাকতে পারেন না। মুখ্যসচিব কমিশনকে জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ৬ মাসের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার মধ্যে ভোট না হলে বাংলায় সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে।
কমিশন বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে যে, মুখ্যসচিব তাঁদের জানিয়েছিলেন যে ভাবনীপুর আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হতে চান। সেই কারণেই কেবলমাত্র ভবানীপুর আসনে উপ নির্বাচনে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর আসনে ভোট বকেয়া ছিল। সেখানেও ভোট হবে ৩০ সেপ্টেম্বর।
পর্যবেক্ষকদের মতে, কমিশন এদিন দেখাতে চাইল সেই সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে তাঁরা চাইলে ভোট নাও করাতে পারতেন। কিন্তু বাংলায় সরকার যাতে বিপদে না পড়ে, রাজ্যে যাতে সাংবিধানিক সংকটের পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেই কারণেই তাঁরা ভোট করাতে রাজি হয়েছেন।
তৃণমূলের মধ্যে একাংশের আশঙ্কা ছিল যে, ভবানীপুর ভোট নিয়ে টালবাহানা করতে পারে কমিশন। এমনকি তৃণমূলের অনেক নেতা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগও করছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে চলছে কমিশন।