একুশের ভোটযুদ্ধে নেটদুনিয়াতেও বিজেপিকে সমানে টক্কর দিয়েছিল তৃণমূল। মাঠে-ময়দানে যেমন জোর লড়াই চালিয়েছিল বাংলার শাসক দল, তেমনি সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের সাহায্যে সদাসক্রিয় ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এবার তৃণমূল যোগ দিল ‘কু’-তে। যা টুইটারের মতোই একটি মাইক্রোব্লগিং অ্যাপ। কু-তে অ্যাকাউন্ট খুলে তৃণমূলের তরফে লেখা হয়েছে, ‘কু অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।’ অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে কু-তে স্বাগত জানিয়েছেন সংস্থাটির সিইও অপ্রমেয় রাধাকৃষ্ণ।
বর্তমানে প্রেক্ষাপটে প্রায় সবার হাতেই স্মার্টফোন। প্রত্যেকেই সক্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাই ভোটের প্রচারেও এখন সোশ্যাল মিডিয়ার কোনও বিকল্প নেই। আর সোশ্যাল মিডিয়ার গোটা প্রাঙ্গনের অধিকাংশটাই কার্যত বিজেপির দখলে। সেই ছবিটাই ক্রমে বদলাতে শুরু করেছে তৃণমূল আসরে নামায়। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধি বা ভিন রাজ্যে সংগঠন গড়ে তোলার পাশাপাশি বিজেপির সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া যুদ্ধতেও সেয়ানে-সেয়ানে থাকতে চাইছে এ রাজ্যের শাসক দল। সেই সূত্রেই এবার কু-তেও অ্যাকাউন্ট খুলল জোড়াফুল শিবির।
তৃণমূলের এই নতুন পথ চলাকে স্বাগত জানিয়ে কু-এর সিইও অপ্রমেয় রাধাকৃষ্ণ বলেন, ‘আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে স্বাগত জানাচ্ছি। কু অ্যাপের মাধ্যমে তাঁরা তাঁদের কর্মসূচী, বক্তব্য আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারবে। অল্প সময়ের মধ্যেই কু দশ মিলিয়ন ডাউনলোড হয়েছে, আমরা আরও দ্রুত বহু মানুষকে আমাদের অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত করতে পারব।’ উল্লেখ্য, ফেসবুক, টুইটারে আগে থেকেই তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদদের প্রবল সক্রিয়তা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবার কু-তেও তৃণমূল নেতাদের যে সক্রিয়তা লক্ষ্য করা যাবে, তা বলাই বাহুল্য।