আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর তালিবানরা বলেছিল, কাশ্মীর ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। এই নিয়ে তারা মাথা ঘামাবে না। কিন্তু আচমকাই ৩৬০ ডিগ্রি পাল্টি খেয়ে তারা জানাল, কাশ্মীরের মুসলিমদের হয়ে বলার অধিকার আছে তালিবানদের।
একটি আন্তর্জাতিক বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মুসলিম ব্রাদারহুডের জয়গান গেয়েছেন তালিবান মুখপাত্র সুহেইল শাহিন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘মুসলিম হিসেবে আমরা ভারত, কাশ্মীর-সহ বিশ্বের যে কোনও দেশের মুসলিমদের নিয়ে সরব হতেই পারি। আমাদের সেই অধিকার আছে’।
এখানেই শেষ নয়। আরও একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে ভারতকে উদ্দেশ্য করে শাহিন বলেন, ‘আমরা বলব, মুসলিমরা তোমাদেরই দেশের নাগরিক। তোমাদের আইন অনুযায়ী তারা সমান অধিকার পেতে পারে। তালিবানের তরফে এই মন্তব্যের পর এটা স্পষ্ট, কাশ্মীরে তারা নাক গলাবে। এমনটাই মনে করছে নয়া দিল্লি।
তালিবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের সংখ্যা বেড়েছে। সীমান্তের ওপারে যেসব লঞ্চপ্যাড থেকে জঙ্গিরা ভারতে ঢোকে সেগুলিকে ফের সক্রিয় করে তোলা হচ্ছে। কাশ্মিরের সক্রিয় জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি অনেক সময় আফগানিস্তানে ঘাঁটি বানিয়েছে। হরকত উল আনসার, জয়েশ ই মহম্মদের মতো গোষ্ঠীর জঙ্গিরা তালিবানের থেকে প্রশিক্ষণও নিয়েছে। এবার সেই ঘটনা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।