বাংলা-সহ কয়েকটি রাজ্যের উপনির্বাচন নিয়ে তোড়জোড় দিল্লির নির্বাচন কমিশনে। করোনা মহামারী এবং বন্যা পরিস্থিতিতে কীভাবে উপনির্বাচন করানো যাবে? কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা হবে? এসব নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবারই বৈঠকে বসতে পারে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। যেহেতু, সময়ের মধ্যে উপনির্বাচন করানোটা কমিশনের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে, তাই শুক্রবারের নির্বাচনেই ভোট করানো নিয়ে ঐকমত্য হওয়ার চেষ্টা করবেন কমিশন কর্তারা।
উপনির্বাচন নিয়ে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে মতামত জানতে চেয়েছিল কমিশন। সেই মতো বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজেদের মতামত জানিয়েছে। গতকাল বাংলা, আসাম, তামিলনাড়ু-সহ কয়েকটি রাজ্যের মোট ১৭টি আসনের উপনির্বাচন নিয়ে রাজ্যের আধিকারিক এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, উপনির্বাচন নিয়ে একেক রাজ্য একেক রকম মতামত দিয়েছে। বাংলা যেখানে জানিয়ে দিয়েছে, এরাজ্যে এখনই ভোট করালে ভাল হয়, সেখানে অসম সরকার জানিয়েছে, তাদের রাজ্যে এখন বন্যা পরিস্থিতি চলছে। আবার তামিলনাড়ু জানিয়েছে সেরাজ্যে এখন উৎসবের মরশুম।
শুক্রবারের বৈঠকে সব রাজ্যের এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দেওয়া মতামত নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সেই সঙ্গে আলোচনা করা হবে বিভিন্ন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে। আইসিএমআর-সহ যে সব এজেন্সি মহামারী পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে, তাদের কাছেও তথ্য নেওয়া হবে। ভোটমুখী কেন্দ্রগুলিতে টিকাকরণের গতি সম্পর্কেও তথ্য নেবে কমিশন। সবদিক বিবেচনা করেই উপনির্বাচন নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে চায় কমিশন কর্তারা।