ফের ত্রিপুরায় আক্রান্ত হল তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা উদয়পুর এলাকায় দুই দলীয় সমর্থকের বাড়িতে ঢুকে তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। জখম হয়ে দুই কর্মী প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হন। তারপর তাঁদের উদয়পুর থেকে আগরতলার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এনিয়ে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। অভিযোগের তির বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বুধবারই টানা ১৫ দিনের লম্বা সফরে ত্রিপুরায় পা রেখেছেন উত্তর-পূর্বের রাজনৈতিক জগতের অন্যতম জনপ্রিয় নেত্রী তথা শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব। তিনি সদ্যই কংগ্রেস ছেড়ে কলকাতায় এসে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আর তারপরই ত্রিপুরার সংগঠনের দায়িত্ব দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই হাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ে প্রথমবার ত্রিপুরা সফরে গিয়েছেন তিনি। বুধবার সেখানে পৌঁছে বৃহস্পতিবার সকালে সুস্মিতা দেব গিয়েছিলেন ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে।
স্থানীয় তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে তাঁর সঙ্গে গিয়েছিলেন সেখানকার জনা কয়েক দলীয় কর্মী, সমর্থক। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সুমন সরকার ও ইজেল হক নামে দু’জন। পুজো দিয়ে তাঁরা যে যার বাড়ি ফিরে যান। এরপর সন্ধেবেলা উদয়পুর এলাকায় সুমন ও ইজেলের বাড়িতে ঢুকে দুষ্কৃতীরা হামলা, মারধর চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এই মুহূর্তে ত্রিপুরায় রয়েছেন সংগঠনের যুব নেত্রী জয়া দত্ত। তাঁর কাছে দলীয় সমর্থকদের উপর আক্রমণের খবর পৌঁছতেই তিনি ছুটে যান ঘটনাস্থলে। জখম দুই সমর্থককে নিয়ে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা করেন জয়া। তিনি বলেন, “আজ ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে সুস্মিতা দেব পুজো দিয়ে বেরিয়ে আসার পর আমাদের কর্মীদের মারধর করা হয়। বিজেপি এসব করেছে।” অন্যদিকে গত ২৮ আগস্ট, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়ে ত্রিপুরায় দুষ্কৃতীদের হামলায় জখম হয়েছিলেন মুজিবর ইসলাম মজুমদার। তাঁর জোড়া হাড়ে চিড় দেখা গিয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য এসএসকেএমে নিয়ে আসা হয়েছে। একথা জানিয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ শান্তনু সেন।