এবাদ পাঁপড়ের আকারের উপর জিএসটি এর প্রকারভেদ নিয়ে শুরু হল জোর বিতর্ক। অবস্থা এমনই যে, আসরে নামতে হয়েছে খোদ সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমসকে। ঘটনার সূত্রপাত, আরপিজি গ্রুপের মালিক হর্ষ গোয়েঙ্কার একটি ট্যুইট থেকে। নিজের ট্যুইটে গোয়েঙ্কা সন্দেহপ্রকাশ করেন পাঁপড়ের সাইজের উপর ভিত্তি করে জিএসটি লাগু হয় কিনা সেই ব্যাপারে। ট্যুইটে গোল ও চওড়া পাঁপরের ছবি দিয়ে তিনি লেখেন, “গোল পাঁপড়ে জিএসটি ছাড় আছে। কিন্তু চওড়া পাঁপড়ে উপর জিসটি ধার্য করা হয়।” এখানেই থামেননি তিনি। এর সঙ্গে এও যোগ করেন, “কেউ কি আমাকে কোনও ভালো অ্যাকাউন্ট্যান্টের সন্ধান দিতে পারেন? যিনি পুরো বিষয়টি আমাকে ভালো করে বুঝিয়ে দেবেন?”
স্বাভাবিকভাবেই গোয়েঙ্কার এই ট্যুইটের পরেই শুরু হয় চাঞ্চল্য। পাঁপড় সম্পূর্ণভাবেই জিএসটি মুক্ত একটি দ্রব্য। তার উপর কোনওরকম জিএসটি ধার্য করা করা হয় না। সরকারের সম্পূর্ণ নিজস্ব সিদ্ধান্তেই, নাগরিকদের স্বার্থের কথা ভেবেই কোনওরকম জিএসটি ধার্য করা হয় না, পাঁপড়ের ক্ষেত্রে। গোয়েঙ্কার ট্যুইটের রিপ্লাইয়ে ঠিক এই কথাই জানানো হয় সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস এর তরফ থেকে৷ ২০১৭ সালে কেন্দ্রের যে জিএসটি আইন, সেই আইন অনুযায়ী ১৪৯টি আইটেমকে জিএসটির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। আইটেমেগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল পাঁপড়।