উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে বারবারই বিতর্কের শিরোনামে উঠে এসেছে বিশ্বভারতী। তবে এবার সেসব কিছুকে ছাপিয়ে ছাত্র আন্দোলনের জেরে একটানা বেশ কয়েকদিন অচলাবস্থা চলছে সেখানে। ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অশান্তির জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। অচলাবস্থা মিটিয়ে ফের বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানোর দাবিতে ইতিমধ্যেই আদালতে রিট পিটিশন জমা দিয়েছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তার পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের নোটিস পাঠানোর নির্দেশ হাইকোর্টের।
বুধবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ৩৮ পাতার রিট পিটিশন কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেয়। দাবি করা হয়, উপাচার্যের বাড়ি ঘেরাও করে যে আন্দোলন চলছে তা ‘রাজনৈতিক’ মদতপুষ্ট। সারাদিনের পাশাপাশি রাতেও বিক্ষোভ চলছে। বাড়িতে খাবার এবং জল পাঠানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুরো বিষয়টি জেনেও নির্বিকার স্থানীয় প্রশাসন। এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তার ভিত্তিতে আন্দোলনকারীদের নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর প্রায় ১২ জন অধ্যাপক-অধ্যাপিকাকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। এছাড়াও অর্থনীতি এবং সংগীত বিভাগের মোট ৩ জন পড়ুয়াকে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সাসপেনশন বর্ধিত করা হয়। তারা সাসপেন্ড থাকাকালীন তিন পড়ুয়াকে ৩ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘যথেচ্ছাচার’ করছেন। তার প্রতিবাদে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সরকারি বাসভবন ঘেরাও করে ছাত্র আন্দোলন চলছে। আর তার জেরে বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অফিস। ভর্তি প্রক্রিয়া, পরীক্ষার ফলপ্রকাশও স্থগিত।