বুধবার নারদ কাণ্ডে ফের চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। চার্জশিটে নাম রয়েছে পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র, প্রাক্তন মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায় ও এসএমএইচ মির্জা। সিবিআই-এর এফআইআরে নাম থাকা সত্ত্বেও শুভেন্দু অধিকারীর নাম কেন বাদ গেল ইডির চার্জশিট থেকে সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রশ্নই তুলেছেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। নাম না করে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এক ব্যক্তি পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির নিরপেক্ষতা কে দেখবে?”
পাশাপাশি কুণাল আরও বলেন, “এ কোন দেশের তদন্ত যেখানে যারা বিজেপির পাশে নেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁদের হেনস্থা করবে আর যারা বিজেপির পায়ে লুটিয়ে পড়ছে তাঁরা পার পেয়ে যাবে।” বিজেপির সাংবাদিক বৈঠকে আজ শুভেন্দু অধিকারী বলেন, দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরের আশঙ্কাতেই মুকুল রায়কে তৃণমূল অসুস্থ সাজিয়ে রাখতে চাইছে। এপ্রসঙ্গে কুণাল বলেন, “দলত্যাগ বিরোধী আইন লাগু হলে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনিই সব থেকে বড় দলবদলু। সারদা, নারদা মামলা থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়ে নাম লিখিয়েছেন। ইডি, সিবিআই দেখতে পাচ্ছে না।”
এরপর প্রায় হুঁশিয়ারির সুরে কুণাল ঘোষ বলেন, “আমাদের নেতাদের নামে যদি চার্জশিট জমা পড়ে, তাঁরা তো নিজেদের আইনি লড়াই লড়বেনই, কিন্তু তাহলে সারদা মামলায় অবিলম্বে শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে চার্জশিট পেশ করতে হবে। সুদীপ্ত সেন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে লিখিত বয়ান দিয়েছেন। শুভেন্দু যদি এটা ভেবে থাকেন তৃণমূলের নামে কুৎসা করলেই তাঁর গায়ে আইনের হাত পড়বে না, তাহলে তিনি মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব।”