অন্ডাল বা কাজি নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরের উন্নতীকরণে নজর রাজ্য সরকারের। লক্ষ্য অন্ডাল বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান ওঠানামার যোগ্য করে তোলা। আগামী ২ বছরের মধ্যেই সেই কাজও হয়ে যাবে বলেই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার পানাগড়ের সরকারি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে একথা ঘোষণা করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অন্ডাল বিমানবন্দরকে আগামী ২ বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক উড়ান চালানোর উপযোগী করে তোলা হবে। এই প্রকল্পের জন্য ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কোচবিহার বিমানবন্দরের কাজও শেষ। বিমান চলাচল শুধু বাকি রয়েছে। মালদহ, বালুরঘাটেও বিমানবন্দর তৈরি করার প্রায় ৯৯ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। এ রাজ্যে ৩০টি হেলিকপ্টার স্টেশন ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যের ক্ষমতায় আসার আগে অন্ডাল বিমানবন্দর তৈরির জন্য পিপিপি মডেলে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে চুক্তির মাধ্যমে রাজ্য সরকার জমিদাতাদের ক্ষতিপূরণের কথা জানায়। অন্ডালে কাজী নজরুল বিমানবন্দর চালুর পরও সেভাবে আয় না হওয়ায় তা কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই জায়গা থেকে বিমানবন্দরটিকে ফের চাঙ্গা করে তুলতে রাজ্য সরকার হস্তক্ষেপ করে। অন্ডাল বিমানবন্দরের অধিকাংশ শেয়ার নিয়ে তা সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন করা হয়।
দেশের বিমানবন্দরগুলি বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। কেরল-সহ একাধিক রাজ্যের বিমানবন্দর সম্প্রতি কর্পোরেট সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। তবে এর ঠিক উলটো পথে হেঁটে বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মান দেওয়ার কথা ঘোষণায় খুশি স্থানীয়রা। এলাকায় বিমানবন্দরের গুরুত্ব বাড়লে কর্মসংস্থানও তৈরি হবে বলেই আশাবাদী তাঁরা।