এবার রাজ্যের আর্থিক আয়-ব্যয়ের হিসাবের প্রশংসা করে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলের অফিস থেকে চিঠি এল নবান্নে। রাজ্যের অর্থ দফতরের প্রধান সচিবকে উদ্দেশ্য করে এই চিঠিটি পাঠিয়েছেন দেশের ডেপুটি অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেল (প্রশাসন) রাহুল কুমার। চিঠিতে গত আর্থিক বছরে বাংলার জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দ ও রাজ্যের খরচের হিসাব ১০০ শতাংশ মিলে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের যাবতীয় খরচের ওপর নজরদারি করে থাকে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রাধীন অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেল অফিস। রাজ্য সরকারকে পাঠানো চিঠিতে, আর্থিক লেনদেন তথা খরচের হিসাব রাখার পদ্ধতি নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। চিঠির একটি অংশে লেখা হয়েছে, ‘২০২০-২১ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থ প্রাপ্তি ও বরাদ্দ অর্থ খরচের ১০০ শতাংশ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সব তথ্যই এসেছে অনলাইনের মাধ্যমে। কোভিড সংক্রমণের সময়েও একাধিক অসুবিধার মধ্যে চলেছে সরকারি কাজ। তা সত্ত্বেও স্বচ্ছতার সঙ্গে সব কিছু করা সম্ভব হয়েছে।’ অনলাইনে পাঠানো আর্থিক হিসেব নির্ভুল হয়েছে বলেই জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।
সব রাজ্য সরকারের প্রাপ্ত অর্থ ও খরচের উপরেই নজরদারি করে ইন্ডিয়ান অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট সার্ভিসেস। দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির রাজ্য সরকারকে এই সংস্থার কাছেই নিজেদের প্রাপ্ত অর্থের পাওনা ও খরচের হিসেব দিতে হয়। কোনও ক্ষেত্রে সমস্যা হলে, ব্যাখ্যাও চাওয়া হয় রাজ্যগুলির কাছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে রাজ্য অর্থ দফতরকে নানা পরামর্শের পাশাপাশি, নির্দেশও দেওয়া হয়ে থাকে। যা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সঙ্ঘাতের পরিস্থিতিও তৈরি হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে চিঠিতে কোনও পরামর্শ বা নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বরং মমতা সরকার এমন অতিমারির পরিস্থিতিতেও যে সঠিক ভাবে অর্থ খরচ করেছে, তা নিয়ে প্রশংসা করেছেন দেশের ডেপুটি অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেল।