বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষের তৃণমূলে যোগদানের ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। মঙ্গলবার ফের ভাঙন ধরল বিজেপিতে।এবার বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস যোগ দিলেন তৃণমূলে। তৃণমূল ভবনে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের উপস্থিতি দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। বলেন, ‘বিজেপিতে কাজের পরিবেশ নেই। তাই ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলাম’।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটের পর দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তিনি। কিন্তু একুশের ভোটের ঠিক আগে থেকে বেসুরো গাইতে শুরু করেন বিশ্বজিৎ।বিধানসভার অধিবেশনের একেবারে শেষ দিনে আচমকাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে যান তিনি। মমতার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। প্রায় ২০ মিনিট কথোপকথন হয় তাঁদের। সঙ্গেই ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং পার্থ ভৌমিকও।
তারপর থেকেই বিশ্বজিতের ‘ঘর ওয়াপসি’ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। যদিও সেই সময় বিশ্বজিৎ দাবি করেছিলেন, উন্নয়ন তহবিলের টাকা খরচ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতেই এই সাক্ষাৎ। কিন্তু পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে তাঁর সঙ্গে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপির কৈলাস বিজয়বর্গীয়। কিন্তু তাতে যে লাভের লাভ কিছু হয়নি, এদিন তা বোঝা গেল। ৬ মাস পর জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ‘ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলেন’।
পুরনো দলে ফিরেই বিজেপির টিকিয়ে জয়ী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘ওই দলে কাজ করার কোনও সুযোগই নেই। প্রতি নিয়ত তা শিরোনামেও উঠে আসে। দলের মধ্যেই কোনও একতা নেই। এ ওর নামে প্রকাশ্যে বিষোদগার করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কুৎসা করছে। এর পর কি আর সেই দলের কোনও জন প্রতিনিধি মানুষের জন্য কাজ করতে পারেন? আর এটাও তো মাথায় রাখতে হবে, দল তো স্থানীয় নেতৃত্বের উপর গড়ে ওঠে। বহিরাগত নেতৃত্ব দিয়ে দল চলে না। বিশেষ করে যাঁদের ভাষাগত পার্থক্য এতটা প্রকট, সেই ভাষা তো মানুষ বুঝতেই পারবেন না’।