কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতে আজ মঙ্গলবার বিজেপির মন্ত্রিসভায় বহুপ্রতীক্ষিত রদবদল হতে চলেছে ত্রিপুরায়। সোমবার কৃষ্ণনগরে বৈঠকে আলোচনার নিরিখে ওই তিন আসনে যোগ্যতম বিধায়কদের নাম ঘোষিত হয়েছে। গোটা ঘটনাই ঘটেছে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিনোদ সোনকার, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক (সাংগঠনিক) এবং আসাম-ত্রিপুরা বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি ফণীন্দ্রনাথ শর্মার উপস্থিতিতে। বৈঠকে ছিলেন ত্রিপুরার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকও। সূত্রের খবর আজ মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে চলেছেন পাবিয়াচেরা বিধায়ক ভগবান দাস, সূর্যমনিনগরের রামপ্রসাদ পাল ও মজলিশপুরের সুশান্ত চৌধুরী। তবে গোটা ঘটনাকে মধুরেণ সমাপয়েত বলা যাচ্ছে না কারণ এই রদবদল নিয়ে ত্রিপুরা বিজেপি অন্দরে ক্ষোভের গনগনে হাওয়া বইছে। স্পষ্টতই অখুশি বিপ্লব বিরোধী শিবিরের মাথা সুদীপ রায় বর্মন।
সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধ্যেয় বৈঠক কিছুক্ষ চলার পরই রদবদল প্রসঙ্গ ওঠে। শোনা যাচ্ছে, সুদীপ চেয়ে ছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ আশিস সাহা মন্ত্রী হোক। মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হবে না বুঝতে পেরেই সুদীপ রায় বর্মন বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান। অবশ্য আশিস সাহারা শেষ পর্যন্ত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ঠিক দু’দিন আগেই ঘনিষ্ঠ বিধায়কদের নিয়ে কর্মী সম্মেলনের ধাঁচে একটি অনুষ্ঠান করেন সুদীপ রায় বর্মন। রাজনৈতিক মহলের মতে, সুদীপ দলকে একটি বার্তা দিতে চেয়েছিলেন। দেখাতে চেয়েছিলেন তাঁর শক্তির দৌড়। ওই সভা থেকেই সুদীপ রায় বর্মন দলের সমালোচনাও করেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, দল কর্মীদের বক্তব্য শুনছে না। এমনকি ত্রিপুরায় যে বিজেপি তান্ডব চালাচ্ছে তাও মেনে নেন সুদীপ রায় বর্মন। প্রকাশ্যেই বলেন, হামলা হুজ্জুতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
দলকে চাপে রাখতে সুদীপের এই স্ট্র্যাটেজি এবারেও খাটল না। লবির লোককে মন্ত্রিসভায় পাঠাতে পারলেন না তিনি। বিক্ষুব্ধ সুদীপের বিদ্রোহের মাত্রা কি এবার বাড়বে? পাকাপাকিভাবে কি তিনি দল ছাড়বেন? সুদীপের ক্ষোভকে কি সুকৌশলে কাজে লাগাবে তৃণমূল নেতৃত্ব? উত্তরের অপেক্ষায় প্রমাদ গুনছে ত্রিপুরা।