বিধানসভার ভোট প্রচারে গিয়ে নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে আক্রান্ত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চোটকাণ্ডের তদন্তে এবার নন্দীগ্রামে সিআইডি আধিকারিকরা। যে মিষ্টি দোকানের সামনে ঘটনাটি ঘটেছিল, সেই মিষ্টির দোকানে মালিক ও এক সিভিক ভলান্টিয়ারের সঙ্গে কথা বললেন তদন্তকারীরা। ঘুরে দেখেন এলাাকা।
একুশের ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে তখন। জোরকদমে চলছে প্রচার। প্রার্থী হয়ে নন্দীগ্রাম চষে বেড়াচ্ছেন মমতা। এমনই সময় ১০ মার্চ, সন্ধ্যায় স্থানীয় বিরুলিয়া বাজারে প্রচার চলাকালীন পায়ে আঘাত পান তিনি। সড়কপথে কলকাতায় এনে মুখ্যমন্ত্রী ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। ঘটনার পর গাড়িতে বসে মমতা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে ৪-৫ জন ধাক্কা দেয়। গাড়ির দরজার চাপে আঘাত লাগে পায়ে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয় রাজ্যে।
নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট পাঠান মুখ্যসচিব। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রচণ্ড ভিড়ে দরজা চেপে গিয়েছে। কমিশনে আলাদা রিপোর্ট জমা দেন বিশেষ পর্যবেক্ষক বিকাশ দুবে-ও। দিন সাতেক এসএসকেএম-এ ভর্তি ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর পায়ে ব্যান্ডেজ নিয়ে, হুইলচেয়ারে চেপে ভোটের প্রচারে গোটা রাজ্যে চষে বেড়ান তিনি। এবং প্রতিটি নির্বাচনী জনসভা থেকে নন্দীগ্রামে বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগে সরব হন তৃণমূল নেত্রী। এদিকে, ঘটনার কয়েক দিনের পরেই তদন্তভার নেয় সিআইডি। গঠন করা হয় বিশেষ তদন্তকারী বা সিট। এবার সরেজমিনে তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে গেলেন রাজ্যের গোয়েন্দারা।