ঘড়ির কাঁটায় ঠিক রাত ১১.৫৯। ক্যালেন্ডারের পাতায় ৩১ আগস্ট পড়ার আগেই অক্ষরে অক্ষরে প্রতিশ্রুতি পালন করে আফগানিস্তান ছাড়ল মার্কিন সেনাবাহিনী। ২০ বছর পর আফগানভূম থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করল আমেরিকা।
গভীর রাতেই বিবৃতি দিয়ে তা জানিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর মার্কিন সেনা প্রত্যাহারকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ হিসেবে দেখছে তালিবান। রাতেই আতসবাজি পুড়িয়ে তারা উল্লাসে মেতেছে। তাদের বক্তব্য, ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানকে রক্তাক্ত করার পর অবশেষে ফিরে গিয়েছে মার্কিন সৈন্যরা। অন্যদিকে, মার্কিন প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সাধারণ আফগানবাসীর সাহায্যের জন্য সবসময় প্রস্তুত আমেরিকা। তবে তালিবানের সরকারকে স্বীকৃতি দেবে না। তাই কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হলেও, মানবিকতার স্বার্থে পাশে থাকছে বাইডেন প্রশাসন।
ডেডলাইন ছিল ৩১ আগস্ট। আফগানিস্তানের দখল নিয়ে মার্কিন-সহ ন্যাটো গোষ্ঠীর বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল তালিবান। চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। আর সেই কারণেই টানা অপারেশনে আফগানিস্তান থেকে সমস্ত মার্কিন নাগরিককে ফিরিয়ে আনার পর ডেডলাইন শেষের আগেই সেনা প্রত্যাহার করে নিল পেন্টাগন। কাবুলে ইউএস মিশনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন বাইডেন। সি-১৭ বিমানটি শেষ সেনা আধিকারিক মেজর জেনারেল ক্রিস ডোনাহেকে নিয়ে উড়ে গেল কাবুল বিমানবন্দর ছেড়ে। যদিও বেসরকারি সূত্রে খবর, এখনও প্রায় ১০০ জন আটকে আফগানভূমে।
আর মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর দেশের ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’র আনন্দে কাবুল বিমানবন্দরের দখল নিয়ে শূন্যে গুলি ছুঁড়ে উল্লাসে মাতল তালিবান বাহিনী। তালিবান মুখপাত্র কারি ইউসুফ বলছে, ‘শেষ মার্কিন সেনা কাবুলের মাটি ছেড়ে চলে যাওয়ার পরই আমরা পূর্ণ স্বাধীনতা পেলাম’।