ভোট প্রচারে বেরিয়ে পড়ুয়াদের হাতে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মতই শুরু হয়েছে আবেদন পর্ব। যেভাবে ছাত্রছাত্রীরা আগ্রহ দেখাচ্ছেন, তাতে ভুরি ভুরি আবেদন জমা পড়ছে রোজ। যার ফলে দুই মাসে প্রায় ১১ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করেছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে, আবেদনকারীদের মধ্যে একটা বড় অংশই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের। বেশ কিছু নতুন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেশি বেশি আবেদন এসেছে। যেমন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (প্রায় ১০০), সিধু কানহো বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে (প্রায় ১৪০) ভালই আবেদন জমা পড়েছে। তবে নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪৪০ জন ছাত্রছাত্রী এই কার্ডের আবেদন করেছেন। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে এটাই সর্বাধিক।
রায়গঞ্জ (২৯০) এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (১৭৫) যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এছাড়াও রবীন্দ্রভারতী, গৌড়বঙ্গ, বিদ্যাসাগর, উত্তরবঙ্গ, প্রযুক্তি এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একশোর কিছু বেশি সংখ্যক পড়ুয়া স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের আবেদন জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে এই ক্রেডিট কার্ডের জন্য ৭৬ হাজারের মতো আবেদন জমা পড়লেও ৩০০ জনের ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে এবং ৪৫০ বেশি আবেদন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ব্যাঙ্কের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে ২০ হাজারের বেশি আবেদন।