বর্শানিক্ষেপে ফের একবার দেশের মুখ উজ্জ্বল করল ভারত। অলিম্পিক্সের পর এবা- প্যারালিম্পিক্স জ্যাভলিনে থ্রোয়ে সোনা পেলেন সুমিত আন্টিল। এর আগে নীরক চোপড়া টোকিও অলিম্পিকে সোনা পেয়েছিলেন। এবার প্যারালিম্পিকে সুমিতও সোনা এনে দিলেন, এমনকী বিশ্বরেকর্ডও গড়েছেন তিনি। সুমিত ছুঁড়েছেন ৬৮.৫৫ মিটার। টোকিও অলিম্পিকে যেভাবে নীরজ শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েছিলেন, ঠিক তেমনি সুমিতও জ্যাভলিনে সেটি করে দেখিয়েছেন। তিনি প্রথম যে ছুঁড়েছিলেন, সেটিতেই বিশ্বরেকর্ড হয়ে গিয়েছে। ওই একই বিভাগে সন্দীপ চৌধুরীও চতুর্থ হয়েছেন।
উল্লেখ্য, টোকিওতে যে স্টেডিয়ামে নীরজ চোপড়া সোনা জিতেছিলেন, সেই স্টেডিয়ামে সোমবার ফের ঝলসে উঠলেন সুমিত। এফ-৬৪ বিভাগের ফাইনালের প্রথম থ্রোয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েন। ছোড়েন ৬৬.৯৫ মিটার। সেখানেই অবশ্য থামেননি সুমিত। দ্বিতীয় থ্রোয়ে সেই রেকর্ডও ভেঙে দেন। যা মিনিট কয়েক গড়েছিলেন। এবার তাঁর বর্শা অতিক্রম করে ৬৮.০৮ মিটার। তৃতীয় এবং চতুর্থ থ্রোয়ে অবশ্য কিছুটা কম দূরত্ব অতিক্রম করে সুমিতের বর্শা। শেষ থ্রোয়ে আরও বাজিমাত করেন সুমিত। তখন তিনি ৬৮.৫৫ মিটার ছুড়ে আরও একবার বিশ্বরেকর্ড ভাঙেন।
প্রসঙ্গত, সুমিতের সোনার আগে সোমবার সকালেও জ্যাভলিনে পদক এসেছিল ভারতের। অবনি, যোগেশের পর জ্যাভলিন থ্রোয়ে যুগ্ম পদক জয় দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া ও সুন্দর সিং গুরাজার। যদিও সুমিত পরেরদিকে সোনা জিতে সকলকে ছাপিয়ে গিয়েছেন। ২০০৪ সালে এথেন্সে প্রথম সোনা জয়ের ১৭ বছর পরে টোকিওতে ফের রুপো জিতে সর্বকালীন সেরা হওয়ার দৌড়ে নিজের নাম আরও সুপ্রতিষ্ঠিত করলেন দেবেন্দ্র। তবে তিনি একা নন। একই ইভেন্ট থেকে পদক জেতেন আরেক ভারতীয়ও। দেবেন্দ্রর মতোই শুরুটা মন্থর করলেও নিজের পঞ্চম প্রয়াসে ৬৪.০১ মিটার ছুঁড়ে তৃতীয় স্থান দখল করেন সুন্দর সিং গুরাজার।