স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, চালু হওয়ার ১ মাসের আগেই, উৎসশ্রীর মাধ্যমে ১৩০৮ জন প্রাথমিক শিক্ষক বদলি ও ৮৯৫ সেকেন্ডারি শিক্ষকদের বদলি হয়েছে। চালু হওয়ার ১ মাসের আগেই ‘উৎসশ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি শুরু হল। মূলত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বাড়ি কাছাকাছি বদলির জন্য ‘উৎসশ্রী’ পোর্টাল চালু করে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর।
অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলির জন্য এই সুবিধা গত ৩১ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। প্রাথমিক এবং সেকেন্ডারি দুটি পর্যায় শিক্ষক-শিক্ষিকারা, শিক্ষাকর্মী ও প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকারা জেনারেল ট্রান্সফার ও মিউচুয়াল ট্রান্সফারে সুযোগ পাবেন এই পোর্টালের মাধ্যমে।
প্রথম পর্যায়ে প্রায় দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষকদের বদলির সুবিধা ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়ে গেছে বলেই স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর। এক মাসের আগেই এত সংখ্যক শিক্ষককে এই পোর্টালের মাধ্যমে বদলির সুবিধা দেওয়াকে প্রশাসনিক ভাবে সফল বলেই মনে করছে স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা।
স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, সেকেন্ডারি পর্যায় বদলির জন্য এখনও পর্যন্ত আবেদন জমা পড়েছে ২২৩১৭টি। যার মধ্যে ১৯৯২০জন শিক্ষক শিক্ষিকা সাধারণ বদলির জন্য আবেদন করেছেন। ৪৬৯ প্রধান শিক্ষিকা সাধারণ বদলির জন্য আবেদন করেছেন। ১৪২৩ জন শিক্ষাকর্মী সাধারণ বদলির জন্য আবেদন করেছেন। তবে, তুলনামূলকভাবে মিউচুয়াল ট্রান্সফারে আবেদনের সংখ্যা অনেকটাই কম। এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৮৯৫ জনের বদলির নির্দেশ শিকা ইতিমধ্যেই জারি করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
যার মধ্যে ৮৭৪জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ১৩জন প্রধান শিক্ষক-প্রধান শিক্ষিকার নির্দেশিকা জারি হয়েছে বলে স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর। যদিও আবেদনকারীদের মধ্যে ২১৩টি আবেদনপত্র মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকা জারির জন্য। শুধু তাই নয়, ৫৯৪৩টি আবেদনপত্র স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিবেচনাধীন রয়েছে বলেও স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর। যদিও এ ক্ষেত্রে যদি কোনও স্কুলের বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংখ্যা একজন করে থাকতে তাহলে তাদের বদলি ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেই এসএসসি সূত্রে খবর।
একই জেলার মধ্যে বদলি এবং আলাদা আলাদা জেলার মধ্যেও বদলির প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেছে প্রাথমিক শিক্ষকদের বলেই শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর। যদিও আবেদনকারীদের মধ্য থেকে ২২১৪ আবেদন এখনও জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ গুলির বিবেচনাধীন রয়েছে বলেই স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর। সে ক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে আগামী মাসের মাঝামাঝি এই সংখ্যাটা কয়েক হাজার পেরিয়ে যেতে পারে।
সেকেন্ডারি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশাপাশি প্রাথমিক স্তরে উল্লেখযোগ্যভাবে বদলির সুবিধা পেতে শুরু করেছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্য থেকে এখনও পর্যন্ত ৬০৮৩ আবেদন জমা পড়েছে। এখানে ১৩০৮ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসগুলির মাধ্যমে।