তৃতীয় দিনে প্রতিরোধ গড়েও বাঁচানো যায়নি ম্যাচ। চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই ইংরেজদের কাছে ধরাশায়ী হয়েছে ভারত। লর্ডসে দুরন্ত জয়ের পর লিডসে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে টিম ইন্ডিয়া। এক ইনিংস এবং ৭৬ রানে হারতে হয়েছে বিরাটদের। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে যে আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছিল ভারত, চতুর্থ দিনে এসে তা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল।
শনিবার ম্যাচের পর বিরাট মেনে নিলেন, চাপের মুখেই হারতে হয়েছে তাঁদের। বলেছেন, “স্কোরবোর্ডের চাপের কাছেই মাথা নত করেছি আমরা। নিজের দল ৮০ রানের মধ্যে অল আউট হয়ে যাওয়ার পর বিপক্ষ বড় রান তুললে চাপ বাড়েই। বৃহস্পতিবার পর্যন্তও আমরা ম্যাচে ছিলাম। যতটা সম্ভব প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলাম। আমাদের কাছে একটা সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু আজ ইংল্যান্ডের জোরে বোলাররা আমাদের উপর মারাত্মক চাপ তৈরি করেছিল। শেষ পর্যন্ত ওরা যে ফলাফল চেয়েছিল, সেটাই হল। আমরা আশানুরূপ খেলতে পারিনি।”
প্রশ্ন উঠছে, যে দল লর্ডসে অত ভাল খেলল তাদের লিডসে প্রথম ইনিংসে এরকম অবস্থা হল কেন? বিরাট বললেন, “আমরা নিজেরাও জানি না। হয়তো এই দেশের পরিবেশের কারণে হতে পারে। ভেবেছিলাম ব্যাট করার পক্ষে এই পিচ আদর্শ। বল ব্যাটেও আসছিল। কিন্তু নিজেদের ভুলেই বিপদ ডেকে এনেছি। যে চাপ তৈরি করা হয়েছিল সেটাও সাংঘাতিক।” অনেকেই ভারতের ব্যাটিং ব্যর্থতার পিছনে দায়ী করেছেন টসে জিতে ব্যাট নেওয়াকে। বিরাট তা মানতে চাইলেন না। বলেছেন, “পিচ ভালই ছিল ব্যাটিংয়ের জন্য। ইংল্যান্ড ব্যাট করার সময় পরিস্থিতি অন্যরকম ছিল। আমরাও ভাল বোলিং করতে পারিনি। ফলাফল দেখেই স্পষ্ট, কোন দল ভাল খেলেছে।”
এদিন বিরাট বুঝিয়ে দিয়েছেন, টপ অর্ডারের থেকে আগামী ম্যাচগুলিতে আরও ভাল ইনিংসের প্রত্যাশা করছেন তিনি। তাঁর কথায়, “টপ অর্ডারকে ভাল খেলতে হবে যাতে লোয়ার মিডল অর্ডারের উপর চাপ কমে। আমাদের ব্যাটিংয়ে আরও গভীরতা দরকার। আরও আত্মবিশ্বাসী হতে হবে আমাদের। অস্ট্রেলিয়ায় কিন্তু ৩৬ অল আউট হওয়ার পরেও আমরা ফিরে এসেছিলাম।” পাশাপাশি, রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে না খেলানোয় ইতিমধ্যেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন বিরাঅঁ। পরের টেস্টে কি দলে বদল আসবে? অধিনায়কের উত্তর, “সেখানকার পিচ, পরিস্থিতি, আর্দ্রতার উপর নির্ভর করছে। চার পেসার নিয়ে খেলার সিদ্ধান্ত ঠিক। এর আগেও আমরা ফিরে এসেছি। তাই হারানোর কিছু নেই।”