‘ন্যাশনাল মানিটাইজেশন পাইপলাইন’ নিয়ে ফের কেন্দ্র সরকারকে একহাত নিল তৃণমূল। তাদের দাবি, ‘সেল ইন্ডিয়া’ প্রকল্প চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন বলছেন, বিরোধীরা সংসদে সরকারের সেল ইন্ডিয়ার বিরোধিতা করলেও তাদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। গতকালই তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে প্রবল কটাক্ষ করেছিলেন। প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন, দেশের মাটি কি কখনও বিক্রি হয়? মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, “বিজেপি সরকার দানবীয়, তাণ্ডবীয় সরকার। বিজেপি সরকার অমানবিক সরকার। এই সরকার মানুষের কথা ভাবে না। ওঁরা গোটা দেশকে বিক্রি করার ছক কষছে। রেল স্টেশন, এয়ার ইন্ডিয়া কয়লা, লাইফ ইনস্যুরেন্স, জেনারেল ইনসুরেন্স, সব বেচে দেবে কেন্দ্র।”
এদিন ডেরেক ২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে দাবি করেন, দেড় বছর আগেই সরকারের ‘বেচো ইন্ডিয়া’ অভিযানের বিরুদ্ধে সংসদে আওয়াজ তুলেছিলেন তিনি। সংসদে এ নিয়ে সরকারের কাছে বিবৃতি দাবি করেছিলেন। কিন্তু কেন্দ্র তাতে পাত্তা দেয়নি। ২০২০ সালের ১৬ই মার্চের যে ভিডিও ক্লিপ ডেরেক শেয়ার করেছেন, তাতে তাঁর বক্তব্য ছিল, “সরকার বলছে রেলের কোনও বেসরকারিকরণ হচ্ছে না। তাহলে সেটা সংসদে এসে বলুক কেন্দ্র। আমার মনে হয়, সরকার সেল ইন্ডিয়া অভিযান চালাচ্ছে। সব কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, এয়ার ইন্ডিয়া, এলআইসি বিক্রি হচ্ছে। আপনারা এলআইসি থেকে ১৬ হাজার কোটি টাকা নিলেন। বলুন সেই টাকা কোথায় ব্যবহার করেছেন?” ডেরেকের বক্তব্য, দায়িত্ববান বিরোধী হিসাবেই তাঁরা দেশ বিক্রির প্রতিবাদ করে আসছেন। কিন্তু সরকারের মুখে এখনও কুলুপ। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ন্যাশনাল মানিটাইজেশন পাইপলান নামের এক প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। যার লক্ষ্য দেশের বিভিন্ন সেক্টরের সম্পত্তি লিজ দিয়ে তা থেকে বিপুল মূলধন সংগ্রহ। কেন্দ্রের টার্গেট, সরকারে অব্যবহৃত, অকেজো, লোকসানে চলা সংস্থা বা সম্পত্তি লিজ দিয়ে প্রায় ৬ লক্ষ কোটির মূলধন তৈরি করা। বিরোধী শিবিরের দাবি, এভাবে পরোক্ষে দেশ বিক্রিরই ছক কষছে মোদী সরকার।