শুক্রবার দুপুরেই ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার মহারাজা বীর বিক্রম কলেজে টিএমসিপি কর্মী সোলাঙ্কি মণ্ডলের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি কলকাতা থেকে আগরতলার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন ও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সন্ধ্যায় আগরতলায় পৌঁছেই ক্ষুব্ধ ও যুদ্ধংদেহি মেজাজে দেখা গেল এই দুই নেতাকে।
সোলাঙ্কির উপর হামলার প্রতিবাদে পূর্ব এদিন আগরতলা থানা ঘেরাও করে তৃণমূল। বেশ কয়েক জনের গ্রেফতারির দাবিতে পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো বাদানুবাদেও জড়িয়ে পড়েন শান্তনু ও কুণাল। থানার বাইরেও বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান বিক্ষোভ করেন তাঁরা। সঙ্গে ছিলেন বেশ কিছু তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, এমবিবি কলেজে সোলাঙ্কির উপর যারা হামলা করেছে তাদের মধ্যে জিৎ দাস ও রঘুনাথ লোধকে চিহ্নিত করা গেছে। এই দু’জনকে গ্রেফতারির দাবি তুলেছে তৃণমূল।
পুরো ঘটনায় তৃণমূল অভিযোগ করেছে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপির বিরুদ্ধে। সোলাঙ্কির অভিযোগ, এদিন কলেজে যাওয়ার পর একটি ঝালমুড়ির দোকানের সামনে তাঁকে ঘিরে ধরে এভিপির লোকজন। তিনি টিএমসিপিএর হয়ে কয়েকদিন ধরেই প্রচার চালাচ্ছিলেন। আগামী কাল টিএমসিপিএর প্রতিষ্ঠা দিবস রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়াল বক্তৃতা দেবেন। ত্রিপুরাতেও সেই কর্মসূচী দেখানোর পরিকল্পনা করেছে বাংলার শাসকদল। জানা গিয়েছে, সেই কর্মসূচির প্রচারে নেমেই আক্রান্ত হতে হয়েছে এই ছাত্রীকে।
এই ঘটনার পর পূর্ব আগরতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সোলাঙ্কি। তিনি বলেন, তাঁকে প্রথমে ঘিরে ধরে বিজেপির লোকজন। তারপর টানতে টানতে একটি ঘরের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় মোবাইল ফোনে পারমিতা নামের স্থানীয় এক যুব তৃণমূল সংগঠকের নম্বরে ডায়াল করে দেন তিনি। সোলাঙ্কির ফোনে চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ মেয়ে ওই পারমিতা অন্যদের খবর দেন। সবাই মিলে সোলাঙ্কিকে উদ্ধার করতে কলেজে এলেই শুরু হয় সংঘর্ষ।