রাজনীতি সেবার জায়গা হোক। সংস্কৃতির জায়গা হোক। ছাত্রছাত্রী, শিক্ষকশিক্ষিকাদের ছাড়া এই কাজ হতে পারে না। গত ১০-১৫ বছরে ছাত্ররা রাজনীতিতে সেভাবে এগিয়ে আসছে না। আজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে এমনটাই বললেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতার কথায়, ‘রাজনীতিতে তরুণ অংশগ্রহণে জোর দিতে হবে। আমি মনে করি শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতের সম্পদ। বিজেপি ছাত্রছাত্রীদের কণ্ঠরোধ করছে। সরকার কর্মীদের কণ্ঠরোধ করছে বিজেপি। ১৮ বছর কোনও বাধা মানে না। পরাজয় মানে না। লোভের কাছে মাথানত করে না। উন্নত মানুষ হওয়ার জন্য এগিয়ে যেতে হবে। আমি চাই বাংলার ছাত্রছাত্রীরা পথ দেখাক। যত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় আছে তাদের সঙ্গে সমন্বয় স্থাপন করুন।’
মমতা বলেন, ‘আগে কিছুই ছিল না। বাবা বেঁচে ছিলেন কষ্ট বুঝিনি। টিউশনি করে খাতায় খাতায় লিখে এই জায়গায় পৌঁছেছি। শিক্ষাক্ষেত্রে আমাদের সরকার আসার পর ১০ গুণ বেশি টাকা বাড়িয়েছি। বিনা পয়সায় জুতো, স্কুল ব্যাগ দেওয়া হয়েছে। সবুজ সাথী প্রকল্পে এক কোটি সাইকেল দেওয়া হয়েছে। ১০ লক্ষ টাকার স্টুডেন্ট কার্ড। সুভাষচন্দ্রের তরুণের স্বপ্ন বইয়ের নামে ৯ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে ট্যাব বা মোবাইল দিচ্ছি। আমরা আসার পর ৩০টি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে।’
বাংলায় শিল্পায়নের খতিয়ান দিয়ে মমতা বলেন, ‘বানতলায় লেদার কমপ্লেক্সে ৫ লক্ষ চাকরি হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ থেকে লোক আসছে। ৬৮টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি হয়েছে। দেড় হাজারের বেশি তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি বাংলায় আছে। তথ্যপ্রযুক্তির সুফল সারা রাজ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ১৮টি আইটি পার্ক তৈরি হচ্ছে। উৎকর্ষ বাংলায় স্কিল দফতর ৬ লক্ষ বেকার যুবকযুবতীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। গতিধারা প্রকল্পে ৪৪ হাজার বেকার যুবক-যুবতীকে গাড়ি কেনার টাকা দিয়েছে আমাদের সরকার।’