কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণের নেপথ্যে যে জঙ্গি সংগঠন, তাদের নজর ভারতের দিকেও রয়েছে। এ দেশেও তারা ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। গোয়েন্দা সূত্রকে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম।
আফগানিস্তান সংক্রান্ত বিষয়ে ওয়াকিবহাল নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি ওই সূত্রের দাবি, ওই দেশে আইএসের খোরাসান শাখা সংগঠনের পায়ের তলার মাটি আগের চেয়ে এখন অনেক শক্ত।
আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার করার পর থেকেই আফগানিস্তান বহু জঙ্গি সংগঠনের আস্তানা হয়ে উঠেছে। জম্মু-কাশ্মীরে একাধিক বার হামলা চালানো পাক-জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদও ওই দেশের হেলমন্দ প্রদেশে ঘাঁটি গেড়েছে। পূর্ব আফগানিস্তানের কুনারেও জাল বিছোচ্ছে ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার নেপথ্যে থাকা জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা। এ বার আইএসের খোরাসান জঙ্গি গোষ্ঠীকে নিয়ে নতুন করে উদ্বিগ্ন ভারতীয় গোয়েন্দা মহল।
ভারত-সহ গোটা মধ্য এশিয়ায় জেহাদ ছড়াতে চায় ওই সংগঠন। তাদের মূল উদ্দেশ্যই ভারতের সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানো এবং এ দেশের তরুণদের মগজধোলাই করা। ভারতে ইতিমধ্যেই সেই কাজ তারা শুরু করে দিয়েছে। মুম্বই এবং কেরলের বহু তরুণ তাদের সংগঠনে নাম লিখিয়েছে। উদ্বেগ প্রকাশ করে অন্য এক গোয়েন্দা আধিকারিক দাবি করেছেন, ভারতের যুবসমাজ যদি ওই মতাদর্শকে গ্রহণ করা শুরু করে, তা হলে এ দেশেও কয়েক দিনের মধ্যে তারা শাখা খুলে ফেলবে। গোয়েন্দাদের দাবি, আদর্শগত ভাবে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চায় ওই জঙ্গি সংগঠন। ভারতও তাদের নজরে রয়েছে।