একুশের ভোটযুদ্ধে ভরাডুবির পর থেকেই গেরুয়া শিবিরের অন্দরে শুরু হয়ে গিয়েছে গোষ্ঠীকোন্দল, দোষারোপের পালা। নিত্যদিন ভাঙনও ধরছে দলে৷ দিকে দিকে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। যেমনটা ঘটছে কালচিনিতে। বিজেপির শক্তঘাঁটি বলে পরিচিত কালচিনিতে দলের সাংগঠনিক শক্তি একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। তবে গত তিনমাসে কালচিনিতে বিজেপি শাসক দল তৃণমূলে যত বিজেপির সমর্থক যোগ দিয়েছেন শুক্রবার সেই সব রেকর্ড ভেঙে কালচিনিতে একসঙ্গে দেড় হাজার বিজেপি নেতা-কর্মী শাসক দলের ঝান্ডা হাতে নিলেন। যার ফলে কালচিনির চা বলয়ের আদিবাসী মহল্লায় মুখ থুবড়ে পড়ল বিজেপি।
কালচিনি ব্লক তৃণমূলের সভাপতি পাসাং লামা বলেন, এর থেকেও অনেক বড় চমক আগামী কিছু দিনের মধ্যেই কালচিনি ব্লকে দেখা যাবে। যা রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দেবে। গতকাল জয়গাঁ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য বিষ্ণু লামা ও পবনবীর মোক্তান প্রায় ১৫০০ অনুগামীকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এ নিয়ে কালচিনিতে বিধানসভা ভোটের পর ব্লকের ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বিজেপি’র ৪৩ জন পঞ্চায়েত সদস্য শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখাল। জয়গাঁ-১ পঞ্চায়েত বোর্ড অবশ্য তৃণমূলের দখলেই ছিল। বিজেপি’র দুই পঞ্চায়েত সদস্য দলে যোগ দেওয়ায় তৃণমূল ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে আরও শক্তিশালী হল বলে দলের ব্লক সভাপতি পাসাং লামার দাবি। স্থানীয় মঙ্গলাবাড়ি এলাকায় একটি প্রাথমিক স্কুলে এদিন এই দলত্যাগের অনুষ্ঠান হয়।