কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যাঁরাই মুখ খুলছেন তাঁদেরই ভয় দেখানো হচ্ছে। বিরোধীদের পিছনে এজেন্সি লেলিয়ে দিচ্ছে মোদী সরকার। বারবারই এই অভিযোগ করে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ফের মিলল তাঁর প্রমাণ। নজিরবিহীন বললেও কম বলা হয়। হতে পারে কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশও। কয়লা পাচার লাণ্ডে এবার সস্ত্রীক তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করলো ইডি। তাও আবার তাঁদের কলকাতার কার্যালয়ে নয়, সোজা দিল্লীতে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ৩ সেপ্টেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লীতে ইডি-র অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, পিনকন-কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় বসুকেও ডেকে পাঠিয়েছে ইডি।
যেহেতু জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিষেক বা রুজিরাকে কলকাতার কার্যালয়ে না ডেকে দিল্লীর কার্যালয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছে, তাই তৃণমূল নেতৃত্ব তাই এই ঘটনার পিছনে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির ষড়যন্ত্রই দেখতে পাচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, জিজ্ঞাসাবাদের নামে কার্যত অভিষেক আর রুজিরাকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে ইডি। আর সবটাই হচ্ছে বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে। গোটা ঘটনাটিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আখ্যা দিয়ে এই নিয়ে প্রয়োজনে আইনি পথে লড়াই করার কথাও ভাবতে শুরু করেছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই ইডির তলবের খবরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল। রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, বিজেপি ষড়যন্ত্র করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে টার্গেট করছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোকে শাখা সংগঠন হিসেবে ব্যবহার করছে বিজেপি বলেও অভিযোগ তাঁর।