একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর তারপরেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে শুরু হয়েছে অন্যান্য রাজ্যের সংগঠন বৃদ্ধির চেষ্টা। ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে ২০২৩ সালে। আর সেই ভোটকে ‘পাখির চোখ’ করেই বিপ্লব দেবের রাজ্যে সংগঠন তৈরি এবং প্রসারে নজর দিয়েছে দল।তাদের দাবি, লাগাতার ত্রিপুরার একাধিক বিজেপি নেতা যোগাযোগ রাখছেন তাদের সঙ্গে। এদের মধ্যে অনেকে শীঘ্রই যোগ দিতে পারেন জোড়াফুল শিবিরে।
সূত্রের খবর, কলকাতায় এসে বসে আছেন বিজেপির একাধিক বিধায়ক। শুধু তাই নয়, ত্রিপুরায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাচ্ছে বিজেপি সরকার। এমনই খবর প্রকাশ পেয়েছে তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলায়।’ তৃণমূল মুখপত্র বলছে, বিজেপির এক ঝাঁক নেতা-মন্ত্রী তৃণমূলে আসার জন্য পা বাড়িয়েই রয়েছে। শেষ ৭২ ঘণ্টায় যতজন বিজেপি বিধায়ক যোগাযোগ করেছেন বা গোপন বৈঠক করেছেন তৃণমূলের সঙ্গে তাতে বিপ্লব দেবের সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর দিকে যাচ্ছে। যদিও পাশাপাশি এমনও বলা হয়েছে, তৃণমূলের লক্ষ বিধায়কদের দলত্যাগ করিয়ে সরকার গঠন নয় বরং নির্বাচনে লড়াই করেই নতুন করে সরকার গড়তে চায় তৃণমূল।
রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘ত্রিপুরায় সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারাচ্ছে বিজেপি। দিনক্ষণ দেখে ফেলে দিতে পারা যায়। তবে মানুষের সমর্থন নিয়ে টিএমসি সরকার আসবে। একাধিক বিজেপি নেতা বার্তা নিয়ে ক্রমশ আসছেন। পরের পর যোগদান ও বৈঠক চলছে। ফলে বিজেপি গরিষ্ঠতা দাবি করার জায়গায় থাকবে না। ত্রিপুরায় সরকার চাইছেন না সরকারে থাকা অনেকেই।’
তৃণমূলের দাবি, ত্রিপুরা বিজেপিতে এই মুহূর্তে দুই ধরনের বিধায়ক আছেন। একদল স্পষ্টই বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে। অন্য দল এখনও বিপ্লব দেবের সমর্থক। কিন্তু বুঝতে পারছেন মানুষের মন বিপ্লব দেব সরকারের উপর থেকে সরছে তাই দূত মারফত যোগাযোগ রাখছেন। জাগো বাংলার এ হেন দাবির পিছনে কিছু যুক্তিও রয়েছে। ত্রিপুরায় সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তৃণমূল বেশ কয়েকটি স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে। প্রতি সপ্তাহেই দলের শীর্ষ নেতারা ত্রিপুরা যাচ্ছেন। যোগাযোগ রাখছেন বিভিন্ন শিবিরের নেতাদের সঙ্গে। তা ছাড়া আগে থেকেই সুদীপ রায় বর্মনদের মতো নেতারা দলে থেকেও বেসুরো।