শেক্সপিয়ার বলেছিলেন, ‘নামে কী আসে যায়’। কিন্তু নাম বদলের রাজনীতিতে দেশের মধ্যে খুব ‘নাম’ করেছে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। এলাহাবাদ হয়েছে প্রয়াগরাজ। মোগলসরাই স্টেশন হয়েছে দীনদয়াল উপাধ্যায়। ফৈজাবাদ হয়েছে অযোধ্যা জেলা। এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের আমলে অব্যাহত নাম বদলের ধারা। এবার যেমন দাবি উঠেছে, সুলতানপুরের নাম বদলে করা হোক কুশভবনপুর। রামের পুত্র কুশের নামেই ওই স্থানের নামকরণের পরিকল্পনা নিয়েছে যোগী সরকার।
তবে এই দাবি আজকের নয়। ২০১৮ সালে উত্তরপ্রদেশের বিধায়ক দেবমণি দ্বিবেদী এই প্রস্তাব রেখেছিলেন। পরে সুলতানপুরের জেলাশাসক ও অযোধ্যার ডিভিশনাল কমিশনারও রাজ্য সরকারের কাছে এই প্রস্তাব রেখেছিলেন। এমনকী, ২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল রাম নায়েক মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি লিখে ওই পরিবর্তনের আরজি জানান। এই মুহূর্তে সেই প্রস্তাব নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। যদি শেষ পর্যন্ত তা স্বীকৃতি পায়, তাহলে এই নিয়ে নাম পরিবর্তিত হবে উত্তরপ্রদেশের তৃতীয় জেলার।
উল্লেখ্য, এর আগে ফৈজাবাদের নাম বদলে অযোধ্যা ও এলাহাবাদের নাম বদলে প্রয়াগরাজ করা হয়েছিল। এবার সেই পথে হাঁটতে চলেছে সুলতানপুরও। এদিকে বৃহস্পতিবারই শোনা গিয়েছিল উন্নাও গ্রাম পঞ্চায়েতের দাবি, মিঞাগঞ্জের নাম অবিলম্বে পরিবর্তন করা হোক। আর তার বদলে নতুন নাম হোক মায়াগঞ্জ। উন্নাওয়ের জেলাশাসক রবীন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে তাঁর কাছে নাম বদলের সুপারিশ এসেছে। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য তিনি তা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
আবার, গত মাসেই নাম বদলের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে চিঠি লিখেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক বাম্বা লাল দিবাকর। তারপরই গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ করা হয়। শুধু মিঞাগঞ্জ নয়, উত্তরপ্রদেশের আরেক জনপ্রিয় এলাকা মির্জাপুরের নাম বদলে ‘বিন্ধ্য ধাম’ করার দাবিও উঠেছে। রাজ্যের মন্ত্রী রামশংকর সিং প্যাটেল এমনই দাবি তুলেছেন। একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, ফৈজাবাদের নাম পরিবর্তন করে যেমন অযোধ্যা রাখা হয়েছে, তেমনই মির্জাপুরের নামও বদল করা উচিত।