প্রথমে ত্রিপুরা সফরে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তারপরই বিপ্লব রাজ্যে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন তৃণমূলের যুব নেতা-নেত্রীরা। ঝরেছে রক্তও। এবার ত্রিপুরায় ফের আক্রান্ত তৃণমূল। অভিযোগ, আগরতলায় দলের নেত্রী সোলাঙ্কি সেনগুপ্তকে মারধর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিযোগের তির এবিভিপির দিকে। পুলিশের সামনেই তাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেত্রী সোলাঙ্কি বর্তমানে নিরাপদে রয়েছেন বলে ত্রিপুরা পুলিশ সূত্রে দাবি। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ত্রিপুরা যাচ্ছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ ও সাংসদ শান্তনু সেন।
প্রসঙ্গত, শনিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। কলেজে কলেজে তার প্রচার চালাচ্ছে ত্রিপুরার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। শুক্রবার তৃণমূলের ছাত্র শাখা তেমনই প্রচার চালাচ্ছিল আগরতলার মহারাজা বীর বিক্রম কলেজে। সেখানেই এবিভিপির সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশের সামনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেত্রী সোলাঙ্কি সেনগুপ্তকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগও করেছেন স্থানীয় ছাত্র নেতারা। ত্রিপুরায় তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শক্তিপ্রতাপ সিংহের অভিযোগ, পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। উল্টে পুলিশের সামনেই এবিভিপি সদস্যরা তাঁদের উপর চড়াও হয়। শক্তিপ্রতাপের আরও দাবি, এবিভিপির মারে আহত হয়েছেন পারমিতা সেন, বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, হিমাদ্রিশেখর বণিক-সহ আরও অনেকে।