একুশের ভোটযুদ্ধে ভরাডুবির পর থেকেই গেরুয়া শিবিরের অন্দরে শুরু হয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দলের ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। এবার ফের ধাক্কা বিজেপিতে। তৃণমূলের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ প্রমাণিত হবার পর রাজ্য বিজেপির নির্দেশে এই দু’জনকে পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েচগিল বনগাঁ বিজেপির সাংগঠনিক জেলার মহিলা মোর্চার সভানেত্রী উত্তরা বারুরী ও কিষান মোর্চার সভাপতি বুদ্ধদেব মাল্যকে। আর বহিষ্কারের ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই, তৃণমূলে যোগ দিলেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, রাজ্য বিজেপি মহিলা মোর্চা সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল বনগাঁ বিজেপির সাংগঠনিক জেলা মহিলা মোর্চা সভানেত্রী উত্তরা বারুরীকে বহিষ্কার করে চিঠি পাঠায়। জেলা কিষান মোর্চার সভাপতি বুদ্ধদেব মাল্যকেও তার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্য সভাপতি। তারপরই এবার নদীয়ার কল্যাণীতে রাণাঘাট সাংগঠনিক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি রত্না ঘোষ কর, জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু এবং জেলার বিভিন্ন তৃণমূল নেতৃত্বের উপস্থিতিতে কল্যাণী বিধানসভার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকা থেকে জেলা, ব্লক এবং বুথস্তরের দু’হাজারেরও বেশি কর্মী সমর্থক নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন ওই দুজন। কল্যাণী ঋত্বিক সদনে এই যোগদান সম্পন্ন হয়।
এ নিয়ে রত্না ঘোষ কর বলেন, ‘কল্যাণী বিধানসভার বেশিরভাগ অংশই ওপার বাংলার মানুষের বসবাস। তাঁদেরকে নির্বাচনী কৌশল হিসেবে নিঃশর্ত নাগরিকত্বর লোভ দেখিয়েছিল বিজেপি। আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী খাদ্য–বস্ত্র–বাসস্থান এবং বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তা দেখে তৃণমূলের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছেন তাঁরা।’ উত্তরা বারুরী বলেন, ‘মহিলারা কোন সাংগঠনিক ক্ষমতায় থাকুক তা পছন্দ করে না বিজেপির নেতৃত্ব। বিজেপিতে মহিলারা অবাঞ্চিত অত্যাচারিত। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী দলমত নির্বিশেষে যেভাবে মানুষের জন্য বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প চালু করেছেন তাতে আমি গর্বিত। তাই তাঁর হাত শক্ত করতে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’