‘দুয়ারে সরকারে’র শিবিরে যাতে বেশি ভিড় না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। কোথাও যাতে চার-পাঁচশোর বেশি মানুষের জমায়েত না হয়, সেই ব্যবস্থাও করতে হবে। সেক্ষেত্রে আরও শিবির বাড়িয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ দিল নবান্ন। প্রয়োজনে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র অনুযায়ী শিবিরও করা হতে পারে।
নবান্নে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। ‘দুয়ারে সরকার’ ও ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প ছাড়াও রাজ্যে বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয় বলে খবর। বেশ কয়েকটি জেলায় ভিড়ের যে ছবি সামনে এসেছে, তাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার পথেই হাঁটছে রাজ্য সরকার। কোথাও যাতে বিশৃঙ্খল অবস্থা না হয়, তার জন্য এদিন বৈঠকে রাজ্যের জেলাশাসকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
শিবিরে যাতে বেশি ভিড় না হয়, তার জন্য প্রতিটি জেলায় দুই থেকে চার গুণ পর্যন্ত শিবির বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন হাওড়া ও মালদহের শিবিরে ভিড়ের যে ছবি দেখা গিয়েছে, তারপর আরও শিবির বাড়িয়ে দিতে চায় নবান্ন। সেক্ষেত্রে গ্রাম পঞ্চায়েতের তিনটি করে গ্রাম সংসদ নিয়ে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র কাউন্টার করা হবে। শহরের ক্ষেত্রে কয়েকটি বুথভিত্তিক কাউন্টার করার বিষয়েও বলা হয়েছে।
এদিকে, ‘দুয়ারে সরকার’-এ মহানগরের ১৪৪টি ওয়ার্ডের শিবির নিয়ে মুখ্য প্রশাসক ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশে প্রশাসনের মনোভাব স্পষ্ট করে দিল কলকাতা পুরসভা। জরুরি ও কড়া বিজ্ঞপ্তি জারি করে পুরসভার ২৬ হাজার অফিসার ও কর্মীকে জানিয়ে দিল, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত পরিষেবা নিয়ে আসা শিবিরে প্রবীণদের কাউকেই দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখা যাবে না। ‘বিশেষ ব্যবস্থা’ করে দ্রুত ফর্ম ও অন্যান্য সরকারি পরিষেবা পাইয়ে দিয়েই তড়িঘড়ি তাঁদের বাড়ি পাঠাতে হবে। নাগরিক পরিকাঠামো ও পরিষেবা উন্নত করার পাশাপাশি শহরের সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য এবার মুখ্যমন্ত্রীর ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা চালু করছেন মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ।