এখন উত্তর–পূর্ব রাজ্যে পা রাখতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলকে। আর সেখানে পা রেখেই নড়িয়ে দিয়েছে বিপ্লব দেবের সরকারকে। রাস্তায় নেমে আন্দোলন করা থেকে গ্রেফতার হওয়া পর্যন্ত সবই করতে দেখা গিয়েছে। কর্মী–নেতারা বিপদে পড়লে ছুটে গিয়েছেন তৃণমূলের প্রথমসারির নেতারা। এবার ত্রিপুরায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাচ্ছে বিজেপি সরকার বলে খবর প্রকাশ করল তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’। এমনকী বিজেপি নেতারা যোগাযোগ রাখছেন বলে তৃণমূলের দাবি।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিপ্লব দেব সরকারের স্নায়ুর চাপ বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূলের এক নেতা বলছেন, ‘’বিজেপির একাধিক নেতা–মন্ত্রী তৃণমূলে আসার জন্য উন্মুখ হয়ে রয়েছেন।’ জাগো বাংলায় লেখা হয়েছে, এখন যতজন বিজেপি বিধায়ক যোগাযোগ করেছেন তাতে বিপ্লব দেবের সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর দিকে যাচ্ছে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষ্য বিধায়কদের দলত্যাগ করিয়ে সরকার গঠন নয়। নির্বাচনে হারিয়েই নতুন করে সরকার গড়তে চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
তৃণমূলের মুখপত্রে আরও দাবি করা হয়েছে, এখন ত্রিপুরা বিজেপিতে দুই ধরনের বিধায়ক আছেন। একদল সরাসরি বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে। অন্য দল এখনও বিপ্লব দেবের সঙ্গে আছেন। আগে থেকেই সুদীপ রায় বর্মনদের মতো নেতারা দলে থেকেও বেসুরো গাইছেন। আর তাঁরা দলে চলে এলেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে বিপ্লব দেবের সরকার।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই হবে ত্রিপুরার বিধানসভা তাই তৈরি হচ্ছে স্ট্র্যাটেজি। এখন রোজই পালা করে চলছে যোগদান। ভোট এখনও অনেকটাই দেরি তবু সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চোখে পড়ার মতো। সব স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রথম পাতায় স্থান পাচ্ছে তৃণমূলের খবর। ফলে জমজমাট ত্রিপুরার রাজনীতি।