রাজ্যে সঠিক সময়ে উপনির্বাচনের দাবি নিয়ে ফের দিল্লীর নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের পাঁচ সাংসদের এক প্রতিনিধি দল দিল্লিতে কমিশনের দফতরে যায়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সৌগত রায়, সুখেন্দুশেখর রায়, জহর সরকার, সাজদা আহমেদ এবং মহুয়া মৈত্র। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টা কথা হয় তৃণমূলের প্রতিনিধিদের। তৃণমূলের প্রতিনিধিরা আশাবাদী, কমিশন উপনির্বাচন সঠিক সময়ে করার ব্যাপারে সদর্থক ভূমিকা নেবে।
‘কমিশনের কাজ নির্বাচন করা। সেটাকে আটকে রাখা নয়। ওঁরাও চাইছে ভোট করাতে’। দিল্লীতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করার পর এমনটাই বলতে শোনা গেল তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে। দাবি করলেন, নির্বাচন কমিশনও রাজ্যে যথাসময়ে উপনির্বাচন করাতে আগ্রহী। আপাতত তাঁরা কয়েকটি বিষয়ের উপর নজর রাখছেন। সূত্রের খবর, তৃণমূল চাইছে পুজোর আগেই রাজ্যের উপনির্বাচন পর্ব সেরে ফেলতে। কারণ, পুজোর পরপরই একের পর এক উৎসব শুরু হয়ে যাবে।
কোভিড বিধি মেনে বাংলা-সহ ৫ রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রের উপনির্বাচন এবং বিধানসভা নির্বাচন কীভাবে সম্ভব? গত ৯ আগস্ট রাজনৈতিক দলগুলির কাছে তা নিয়ে মতামত চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। তৃণমূল আগেই লিখিতভাবে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছিল। শুক্রবার ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল আরও একবার লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছে, তাঁরা দ্রুত উপনির্বাচন চান। তৃণমূলের বক্তব্য, রাজ্য করোনার প্রকোপ এখন অনেকটাই কম। যে সাত কেন্দ্রে ভোট হওয়ার কথা, সেগুলিতে করোনার সংখ্যা যে কার্যত শূন্য, আলাদা আলাদা ভাবে কমিশনকে সেই তথ্যও দিয়েছে তৃণমূল।
বৈঠক শেষে কমিশনের বক্তব্য নিয়ে একপ্রকার সন্তোষই প্রকাশ করেছেন এরাজ্যের শাসকদলের প্রতিনিধিরা। তাঁরা জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনও রাজ্যে সময়মতো উপনির্বাচন করাতে চায়। কমিশন জানিয়েছে, তাঁদের কাজ ভোট আটকে রাখা নয়, বরং ভোটের আয়োজন করা। তবে কমিশনের তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, সাত আসনের নির্বাচন একসঙ্গে না হয়ে, হতে পারে দুটি আলাদা আলাদা দফায়।