মৌসুমী অক্ষরেখা ক্রমশই উত্তরের দিকে সরেছে। তার ফলে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাস্প ঢুকছে হিমালয়ের পার্বত্য এলাকায়। সে কারণে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে উত্তরের ওই জেলাগুলিতে। প্রবল বৃষ্টির কারণে পার্বত্য এলাকায় ধসেরও সম্ভাবনার কথা জানিয়ে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
পাহাড়ি নদীগুলির জলস্তরও বাড়ার কারণে হতে পারে বন্যাও। বৃষ্টির ঝাঁঝ এখনই কমছে না দক্ষিণবঙ্গে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কলকাতা সহ দক্ষিণের জেলাগুলিতে বৃষ্টির দাপট বাড়বে। উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি চলবে আগামী কয়েকদিন। পাহাড়ি জেলাগুলিতেও জারি হয়েছে সতর্কতা।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, মৌসুমী অক্ষরেখা এখন পূর্ণিয়া হয়ে অসম অবধি বিস্তৃত। উত্তর রাজস্থান ও দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের ওপর ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। এর জেরে অসম ও মেঘালয়ে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে।
কলকাতায় সকালের দিকে মেঘলা আকাশ থাকলেও বেলা বাড়তেই গরমের অস্বস্তি বেড়েছে। এদিন সকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ ৩৪.৫ ডিগ্রি। তাপমাত্রা নামলেও বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৯৫ শতাংশ, তাই আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি রয়েছেই।
উত্তরবঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার অতিভারী বৃষ্টির সর্তকতা জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে। মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি হয়েছে।
শুক্রবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। বিহার উত্তর প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। আগামী চার-পাঁচ দিন প্রবল বৃষ্টি হবে তামিলনাড়ু উপকূলে। আগামীকাল থেকে বৃষ্টি বাড়বে কেরল এবং মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায়।
শুক্রবারের পর বৃষ্টির পরিমাণ সামান্য কমতে পারে। তবে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে আরও কয়েকদিন এক নাগাড়ে বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। শনিবারে দার্জিলিংয়ে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস জারি হয়েছে।