‘দোহায় দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখেনি তালিবান। শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরিত হয়নি। পরিস্থিতি ভয়ানক’। বৃহস্পতিবার সর্বদল বৈঠকে এভাবেই আফগান ইস্যু ব্যাখ্যা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। পাশাপাশি বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধণ শৃংলা বলেন, ‘ভারত এই মুহূর্তে ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতি অবলম্বন করেছে। আফগানিস্তানে তালিবানি শাসনের ক্ষেত্রে বিশ্বের বাকি দেশগুলির কী অবস্থান, তা আগে দেখা হবে। তারপরেই বাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে’।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা নাগাদ সংসদ ভবনের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে শুরু হয় সর্বদল বৈঠক। কেন্দ্রের তরফে উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং প্রল্লাদ যোশী। বিরোধীদের তরফে ছিলেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং অধীর চৌধুরী, এনসিপির শরদ পাওয়ার, ডিএমকের টি আর বালু এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া। তৃণমূলের তরফে হাজির ছিলেন সাংসদ সুখেন্দশেখর রায় এবং সৌগত রায়। সূত্রের খবর, বিদেশমন্ত্রীর থেকে সমস্ত তথ্য পেয়ে অনেকটাই সন্তুষ্ট বিরোধীরা। বিরোধী নেতারা নাকি বিদেশমন্ত্রীকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন।
আফগানিস্তান থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে তাও জানানো হয়েছে বৈঠকে। বিদেশ মন্ত্রী বলেন, ‘আফগানিস্তানের পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। ভারতীয়দের ফেরাতে যেকোনও সাহায্য করবে নয়াদিল্লি’। আফগানিস্তান থেকে সাধারণ মানুষকে বের করে আনতে কাজ করছে এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো এবং ভিস্তারার মতো বিমান সংস্থা। ভারত ছাড়াও নাগরিকদের তাজিকিস্তান, কাতারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ১৫ আগস্টের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৮০০-র বেশি মানুষকে আফগানিস্তান থেকে বের করে এনেছে ভারত। যাঁদের মধ্যে ২০০-র বেশি ভারতীয় এবং ৬০০-র বেশি অন্য দেশের নাগরিক। যাঁদের মধ্যে অনেকেই আফগান শিখ এবং হিন্দু। অন্যদিকে, নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বাসভবনে আরও একটি একটি বৈঠক হয়। সেখানে ছিলেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিং।