এ যেন উলটপুরাণ! যেখানে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প নিয়ে দিনরাত কটুক্তি করে চলেছেন দিলীপ ঘোষরা। সেখানে দেখা গেল রাজ্য সরকারের কর্মসূচী সফল করার জন্য ক্যাম্পে বসেছেন খোদ বিজেপি নেত্রী! স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। কারণ যে সরকারি প্রকল্প নিয়ে বিজেপি নেতাদের মুখে নিন্দা শোনা গিয়েছিল, সেই দলের নেত্রীর এমন আচরণ সবাইকে অবাক করেছে। মুখ পুড়েছে গেরুয়া শিবিরেরও।
এই বিজেপি নেত্রীর নাম জয়া নায়েক। তমলুক পুরসভার ১৩ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের আবেদনপত্র জমা নেওয়া চলছে ঐতিহ্যবাহী তমলুক হ্যামিল্টন হাইস্কুলে। সেখানেই দেখা গেল সরকারি প্রকল্পকে সাহায্য করার জন্য ক্যাম্প করেছেন বিজেপি নেত্রী। এই বিজেপি নেত্রী জয়া দাস নায়েক একুশের নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি আবার তমলুক পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলরও। তিনি এই প্রকল্পের জন্য যাঁরা আবেদন করতে এসেছেন তাঁদের সাহায্য করছেন।
জয়া বলেন, ‘মূলত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কাজ করছি। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যসাথী, রেশন কার্ড ডিজিটালাইজেশন, সংশোধনও করছি। সাধারণ মানুষ এসব প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। আর সরকারটা তো সবার। সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়াটাই মুখ্য উদ্দেশ্য সবার। তাই আমার ওয়ার্ডে যাতে সবাই পরিষেবা পান, উপকৃত হন সেই চেষ্টাই করছি।’ সরকারি প্রকল্প সফল করতে এগিয়ে আসার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তমলুক শহর তৃণমূলের সভাপতি চঞ্চল কুমার খাড়া। তিনি বলেন, ‘বাইরে সমালোচনা করলেও অন্তর থেকে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচী জনমুখী তা মেনে নিয়েছে বিজেপি। তাই তাঁকে ধন্যবাদ।’