এবার ডুয়ার্সে আসা পর্যটকদের জন্য খুশির খবর শোনাল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে। ভারতের অন্যান্য প্রান্তের মতো ডুয়ার্সেও চালু হতে চলেছে ভিস্তা ডোম কোচ। পুজোর আগেই এই ভিস্তা ডোম স্পেশাল ট্রেন চালু হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই পর্যটকদের মহলে খুশির আমেজ। প্রসঙ্গত, ডুয়ার্স পর্যটকদের কাছে চিরকালই আকর্ষণীয়। বিশেষ করে শিলিগুড়ি থেকে ডুয়ার্সের মধ্য দিয়ে আলিপুরদুয়ার জংশন পর্যন্ত রেলপথের দু’পাশের অপরূপ সৌন্দর্য্য পর্যটকদের খুবই পছন্দের। এই রেলপথের অধিকাংশ অংশই ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে। এই রেলপথ দিয়ে যাতায়াতের সময় প্রায়শই হাতি, বাইসন, হরিণ, ময়ূরের দেখা পাওয়া যায়। এছাড়া সবুজ চা বাগানের সৌন্দর্য ও বিভিন্ন পাহাড়ি নদীর অপরূপ দৃশ্য তো আছেই।
উল্লেখ্য, পর্যটকদের কথা ভেবে ২৮শে আগস্ট থেকে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন এবং আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত ভিস্তা ডোম স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপাতত সপ্তাহে তিনদিন করে এই ট্রেন চলবে। করোনা-বিধি মেনে এই কোচে সফর করতে পারবেন পর্যটকরা। আইআরসিটিসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও রেলের কাউন্টার থেকে টিকিট কাটা যাবে। প্রতি শুক্র, শনি ও রবিবার ০৫৭৭৭ নিউ জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ার ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেনটি সকাল ৭টা ২০ মিনিটে এনজেপি থেকে ছেড়ে দুপুর ১টায় আলিপুরদুয়ার জংশনে পৌঁছবে। ০৫৭৭৮ আলিপুরদুয়ার-নিউ জলপাইগুড়ি স্পেশাল ট্রেনটি দুপুর ২টোর সময় ছেড়ে নিউ জলপাইগুড়িতে পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৭টায়। মোট ১৬৯ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে এই ট্রেনটি ৫ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট সময় নেবে।
এর আগেই স্বচ্ছ কাচের ভিস্তা ডোম কামরা প্রথম চালু হয়েছিল উত্তরাখণ্ডের কালকা-সিমলা রুটের টয়ট্রেনে। এরপর ভারতের বেশকিছু রুটের টয়ট্রেনেও চালু হয়েছে এই কোচ। তেলেঙ্গনার বিশাখাপত্তনম থেকে জগদলপুরগামী কিরণডুল এক্সপ্রেসের একটি কোচও ভিস্তা ডোম প্রকৃতির। ভারতের বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলে পর্যটক বৃদ্ধি করাই এই কোচের মূল উদ্দেশ্য। বাতানুকূল এই কোচগুলির জানলা সাধারণ ট্রেনের জানলার তুলনায় অনেকটাই বড়। কামরার প্রতিটি আসনকে ইচ্ছামতো ৩৬০ ডিগ্রি কোণে ঘোরানো যায় এবং পুশব্যাক সুবিধা আছে। ছাদও স্বচ্ছও কাচের। স্বচ্ছ কাচের ছাদ দিয়েও দেখা যাবে নীল আকাশ। শুধুমাত্র কনফার্ম টিকিট থাকলেই চড়া যায় এই ট্রেনে।