ফোনে আড়ি পাতা ইস্যুতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম বি লোকুরের নেতৃত্বে দুই সদস্যের তদন্ত কমিশন তৈরি করেছিল রাজ্য সরকার। যাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। এবার সেই মামলাতেই হলফনামা জমা দিল রাজ্য। নিরপেক্ষভাবে পেগাসাস ইস্যু খতিয়ে দেখতেই তদন্ত কমিশন গঠিত হয়েছে বলে শীর্ষ আদালতে স্বপক্ষে যুক্তি দিল তারা।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ নোটিস ধরায় রাজ্যকে। হলফনামায় রাজ্য জানায়, পেগাসাস কাণ্ডের সঙ্গে বাংলার মানুষের স্বার্থ জড়িয়ে আছে। তাঁদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এবং বিদেশি কোনও স্পাইওয়্যার যাতে ফোনে আড়ি পাততে না পারে, তা নিশ্চিত করতেই এই কমিশন গঠন করা হয়েছে। তাই রাজ্যের গঠিত কমিটিই এই কাণ্ডের তদন্ত করুক। সেটাই তারা চায়। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের অভিযোগ, জনস্বার্থ মামলাকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে আরএসএস যোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, পেগাসাস ইস্যুতে শুরু থেকেই সরব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশে জুলাইয়ের শহীদ সমাবেশের মঞ্চ থেকেই তিনি ঘোষণা করেন, ফোনে আড়ি পাতা কাণ্ডে আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করবে রাজ্য সরকার। দিল্লীতে গিয়ে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পরও পেগাসাস নিয়ে সুর চড়ান তিনি। গত ২৬ জুলাই এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মদন লোকুর এবং কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের ওই কমিটি ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিজেদের কাজ শুরু করেছে। এবার রাজ্যের হলফনামা জমার পর জল কোন দিকে গড়ায়, সেটাই দেখার।