এবার চুরির অভিযোগে উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা এক মুসলিম ব্যক্তি ও তাঁর পরিবারকে রাজস্থানের আজমীরে চূড়ান্ত হেনস্থা করা হল। আর সেই নিগ্রহের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই সেই ভিডিওর সূত্র ধরে ৫ জন গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মুসলিম চুড়িবিক্রেতাকে হিন্দু পাড়ায় ঢুকে নাবালিকা শ্লীলতাহানির অভিযোগে মারধরের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আজমীরে ফের সংখ্যালঘু নিগ্রহে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্তরা মুসলিম লোকটিকে মারধর করছে। লোকটির সঙ্গে দুটি শিশুসন্তান। একজন চিৎকার করে তাঁকে বলছে, কেন উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেছ? এখানে কোনও মন্দির আছে কি? আমি ওদের ক্লিপ দেখেছি। ওরা সোনার গহনা চুরি করে।
এরপরই তাঁকে বলা হয়, এক কাজ করো, পাকিস্তানে চলে যাও। তুমি কি ভিখারি। দেখি, পকেট দেখি! তারপর একটি বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটির কাছ থেকে জোর করে টাকাকড়ি নিয়ে নিতে দেখা যায় অভিযুক্তদের। এমনকী তারা লোকটির দেহ তল্লাশি করে। তাঁকে মোবাইল ফোনের স্পিকার মিউজিক বন্ধ করতেও বলে তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০ আগস্ট তোলা একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছে। তাতে কিছু লোক এক ভিখারীকে মারধর করছে, দেখা যাচ্ছে। এ ঘটনায় কোনও এফআইআর দায়ের হয়নি। আমরা নিজেরাই তদন্তের নির্দেশ দিই। তদন্তে বেরয়, জনৈক ললিত শর্মা আরও ৪ জনের সঙ্গে ওই ভিখারীকে নিগ্রহ করে। ললিত ২০ আগস্ট গ্রেফতার হয়, বাকিরা পরদিন। যদিও ৫ অভিযুক্তই পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়। জানা গিয়েছে, ললিত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্য।